ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

শ্রমিকদের নিঃসঙ্গ ইফতারি

  কিরণ শেখ

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২০, ১৯:০৭

শ্রমিকদের নিঃসঙ্গ ইফতারি

প্রতিবছর রমজানে কাওরান বাজারের শ্রমিকরা দলবদ্ধভাবে ইফতারি করেন। কিন্তু এবছর করোনাভাইরাস সংক্রামণের কারণে তারা দলবদ্ধভাবে ইফতারি করতে পারছেন না। তাই একা একা বসেই ইফতার করছেন শ্রমিকরা। আর ইফতারি আয়োজনে শ্রমিকদের কারো কারো প্লেটে মুড়ি, ছোলা, জিলাপী এবং আলু’র চপ দেখা গেছে। আবার কারো কারো প্লেটে ছিল মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু ও বেগুনি।

সারাদিনের কাজ শেষ করে ইফতারি নিয়ে বসেছেন সোহেল রানা। তিনি কাওরান বাজারের ভ্যানচালক। ভ্যানের উপরেই ইফতারি নিয়ে বসেছেন তিনি। সোহেলের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, প্রতিবছর রমজানে সবাই এক সাথে বসে ইফতার করি। কিন্তু এবছর করোনার কারণে সবাই এক সাথে বসে ইফতার করতে পারছি না। সেজন্য একা একা বসেই ইফতার করছি।

গত ২৭ এপ্রিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২৮ এপ্রিল থেকে হোটেল এবং রেস্তোরায় ইফতারি বিক্রি করা যাবে। আর প্রতিষ্ঠিত রেস্তোরাঁ বা রেষ্টুরেন্টে ইফতার তৈরি এবং বিক্রি করতে পারবে। তবে ফুটপাতে কোনো ধরণের ইফতার বিক্রি করা যাবে না।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, ইফতার সামগ্রী বিক্রির সময় ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কেউ রেষ্টুরেন্টে বসে ইফতারি খেতে পারবে না। কিনে সেখান থেকে চলে আসতে হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাওরান বাজারের আড়তদাররা তাদের দোকানে বসেই ইফতার করছেন। আর শ্রমিকরা কেউ কেউ মুদির দোকানের সামনে, আবার কেউ কেউ ফুটপাতে বসে ইফতার করছেন।

জানতে চাইলে কাওরান বাজারের আড়তদার জাহাঙ্গীর আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রতি রোজায় আমরা সবাই এক সাথে বসেই ইফতারি করি। কিন্তু এবার করোনার কারণে এক সাথে বসে ইফতার করা হচ্ছে। কারণ করোনা থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে সামাজিত দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

এদিকে রমজান মাসে হোটেলগুলোতে ইফতারি বিক্রির অনুমতি মিললেও রাজধানীতে তেমন ইফতারি বিক্রি হচ্ছে না। কারণ ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। এবিষয়ে হোটেলের মালিকরা বলছে, প্রতি বছরই রমজান মাসে ইফতারের বাজার সরগরম থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে এবার ইফতারের বাজারগুলোতে ক্রেতা সঙ্কটে পড়েছে। যার ফলে করোনার মধ্যেও ইফতার বিক্রির জন্য হোটেলগুলো খুলে দেওয়া হলেও সেগুলোতে স্বাভাবিক চিত্র দেখা যাচ্ছে না।।

কাওরান বাজারের হোটের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, রমজানে ব্যবসা প্রতিবছরই ভালো হয়। কিন্তু এবছর করোনার কারণে ব্যবসা হচ্ছে না। আর এটার প্রভাব ইফতারের বিক্রিতেও পড়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত