ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজধানীর পাইকারি বাজারে ভিড়, জনমনে শঙ্কা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২০, ২১:২১  
আপডেট :
 ১৩ মে ২০২০, ২১:৪৫

রাজধানীর পাইকারি বাজারে ভিড়, জনমনে শঙ্কা

করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ সারাদেশ লকডাউন অবস্থায় থাকলেও পুরান ঢাকার পাইকারি বাজারে চলছে রমরমা ব্যবসা। সৃষ্টি হয়েছে ক্রেতাদের ভিড়, মানা হচ্ছে না সমাজিক দূরত্ব। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাইকারি বাজারের মূল চাহিদা দেশের জেলা-উপজেলার দোকানিদের মধ্যে। তাদের পণ্য চাহিদার যোগান দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো কোনো ব্যবসায়ী অগ্রিম টাকা দিয়েও পাচ্ছেন না তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য।

এদিকে পাইকারি বাজারের পণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি। রীতিমতো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকছে পুরান ঢাকার অলি-গলিতে। যার ফলে চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েই চলছে পুরান ঢাকার করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

একাধিক পাইকারি পণ্যের ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে ঈদ উপলক্ষে নানা পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। তবে বিগত দিনগুলোতে কারখানা চালু না থাকায় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এজন্য অনেকেই অগ্রিম টাকা দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী মালপত্র পাচ্ছে না।

যেসব পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আগে থেকেই মালামাল মজুদ ছিল তারাই মাল সরবরাহ করতে পারছে। এর বাইরে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই কারখানা চালু করতে না পেরে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।

তবে এসব পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন পুরান ঢাকা এমনিতেই ঘিঞ্জি এলাকা। তার উপরে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালু করায় করোনাভাইরাস আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা । এসময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ারই অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

বেচারাম দেউড়ির বাসিন্দা আব্দুস সামাদ বলেন, আমার বাড়ির আশেপাশে বেশ কয়েকজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে। এরমধ্যে দিনের অধিকাংশ সময় এলাকাটিতে যানজট লেগেই থাকে। এতে রোগটি আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে শুধু দিনে নয়, রাতেও সারিসারি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকছে পুরান ঢাকার পাইকারি বাজার গুলোতে। দেখা যায়, গাদাগাদি করে এসব ট্রাকে মাল তুলে দিচ্ছেন শ্রমিকরা।

লালবাগ জোনের পুলিশের উপ-কমিশনার হাফিজ আল আসাদ বলেন, সরকারি নির্দেশনার বাইরে আমরা কাউকে কোনো ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে দিচ্ছি না। মার্কেটগুলোতে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছি। এসময় বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক ব্যানারে স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত