ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফুটপাত উচ্ছেদে নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ মে ২০২০, ১৭:১১

ফুটপাত উচ্ছেদে নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফুটপাত উচ্ছেদের অভিযানে কয়েক হাজার পরিবার নিঃশ্ব হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে জনমনে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে সচেতন মহলের কেউ কেউ মনে করেন, ঈদের আগে এভাবে ফুটপাতের কয়েক হাজার পরিবারকে নিঃস্ব করা ভালো হয়নি।

আবার কেউ বলছেন, এলাকাবাসীকে বাঁচাতে প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপ সঠিক ও সময়োপযোগী। কারণ মানুষ বেঁচে থাকলে ব্যবসা করতে পারবে। আজ মার্কেট ও ফুটপাত বন্ধ করেছে, তবে আবার করোনাভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে বা লকডাউন তুলে নিলে এটা থাকবে না।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১০ মে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়ার সাথে সাথে গাউছিয়া কাপড়ের মার্কেটসহ এখানকার সকল মার্কেটজুড়েই শুরু হয়ে যায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে রূপগঞ্জবাসী। তার মধ্যে বেশি চিন্তায় পড়ে যায় এলাকাবাসী। এনিয়ে চলে নানা গুনজন।

মার্কেট খোলার ঠিক পরেই দেখা যায়, হঠাৎ করে রূপগঞ্জে বেড়ে যায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। পরে উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেটগুলো বন্ধ করার সিদান্ত নেয়। সাথে সাথে ফুটপাতগুলোতে পড়ে মানুসের উপচেপড়া ভিড়। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো নেয়া হয় ফুটপাত উচ্ছেদের কর্মসূচি। তারই অংশ হিসাবে গত কয়েক দিন যাবত চলে এ অভিযান।

এ অভিযানে ভেঙ্গে দেয়া হয় প্রায় দেড় হাজার ফুটপাতের দোকান। তবে তার সাথে তাঁতবাজর ও আব্দুল হক সুপার মার্কেটের মাছবাজার ও কাঁচাবাজার তুলে দেয়ার সিদ্ধন্ত নেয়া হয়।

গাউছিয়া মার্কেট দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ মার্কেটৎ। এখানে সারা দেশ থেকে আসা লাখো মানুষের ভিড়ে করোনা আতঙ্ক বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে গোলাকান্দাইল, পাঁচাইখা, আউখাব, মর্তুজাবাদ টেলাপাড়া সিংলাব, মাঝিপাড়া, সাওঘাট, বান্ডি, কা ন, মুড়াপাড়াসহ রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, গাজীপুর, মাধবদী, নরসিংদী, ভেলানগর এলাকার লোকজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

জানা যায়, এসব এলাকার লোকজন এই গাউছিয়া মার্কেটই ব্যবসা বাণিজ্য করে। সব বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করেই প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেন।

ক্ষতিগ্রস্থ ফুটপাতের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ফুটপাতের ছোট ছোট ব্যবসায়ী, আমাদের পুঁজি কম। আমরা কোনভাবে অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করে খাই। সামনে ঈদ, আমরা কিভাবে চলবো এটা নিয়েই আমরা চিন্তায় আছি। আমরা ঈদের সময় কিছু বেচাকেনা করে ঈদ করে থাকি, কিন্তু তা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের আর কোন উপায় নাই। আমরা কি করে খাবো?

এ ঘটনায় ইউএনও মমতাজ বেগম বলেন, আমরা মানুষের জান-মাল রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ নিয়ে বাধ্য হয়েছি।

ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, লকডাউন চলাকালে আমরা এলাকার মানুষ বাঁচাতে সাময়িকভাবেই এসকল পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশ স্বাভাবিক হলে গরীব মানুষের কথা চিন্তা করেই অবস্থা শিথিল করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত