ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনীতির চাকা সচলের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২০, ১৯:১৬

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনীতির চাকা সচলের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। একইসাথে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে অর্থনীতির চাকাও সচল রাখার আহবান।

জাতীয় সংসদে রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার ভয়ে তো আমরা মানুষকে না খাইয়ে মারতে পারি না। তাদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটা আমাদের নিতে হবে। যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে লকডাউন করে তা আটকানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশের দারিদ্র্যসীমা কমিয়ে এনেছি। ১০ বছরে দারিদ্র্যসীমা ৪০ ভাগ থেকে আমরা ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের জিডিপি বেড়ে গিয়েছিল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছিলাম। আমাদের আশা ছিল মুজিববর্ষ উদযাপন করবো। কিন্তু এসময় এক অদৃশ্য শক্তি, করোনাভাইরাস যা কেউ চোখে দেখতে পারে না, বুঝতেও পারে না, তা সারা বিশ্বটাকে স্থবির করে দিলো। সারা বিশ্বে যেন কেমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করলো। একটা আতঙ্ক, ভয়, ভীতি, মৃত্যু আতঙ্ক যেন সারা বিশ্বকে পেয়ে বসেছে। এটাই হচ্ছে অদ্ভুত ব্যাপার। এ ধরনের পরিবেশ আগে আমরা আর কখনও দেখিনি।

করোনা মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষকে বোঝাতে আপনারা অন্তত একটু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এটা খুব সাংঘাতিক একটা সংক্রামক ব্যাধি। সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেশবাসীকে বলছি। পাশাপাশি এটা তো বাস্তবতা করোনার ভয়ে তো আমরা মানুষকে না খাইয়ে মারতে পারি না। তাদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটা আমাদের নিতে হবে। জীবনযাত্রা যাতে চলে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা ঠিক করেছি যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে তা লকডাউন করা। সেখান থেকে যেন সংক্রমণ না হয়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন সচল থাকে সেদিকে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা একটা বাজেটও দিতে সক্ষম হয়েছি। এই কাজগুলো যখন করছি সেটা এক ধরনের যুদ্ধ। সেই সময় যাদের আমরা সবসময় কাছে পেয়েছি তাদের দু’জনকে হারানো অত্যন্ত কষ্টকর।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি সংসদে আসবো। কিন্তু অনেক জায়গা থেকে আমাকে সংসদে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। ভীষণভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, না না আপনি যাবেন না, নেত্রী যাবেন না। তা আমি বললাম হুমকি, বোমা, গ্রেনেড কত কিছুই তো মোকাবিলা করে করে এ পর্যন্ত এসেছি। এখন কী একটা অদৃশ্য শক্তির ভয়ে ভীত হয়ে থাকবো।

করোনা সংক্রমণে আজ সারা বিশ্বই আতঙ্কিত উলে­খ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই আতঙ্কটা এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা সত্যি খুব দুঃখজনক। করোনাভাইরাসের ভীতিটা প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বেই। এখানে উন্নত দেশ, অনুন্নত দেশ বা উন্নয়নশীল দেশ কিংবা অস্ত্রের দিক থেকে শক্তিশালী, অর্থের দিক থেকে শক্তিশালী অথবা হত দরিদ্র রাষ্ট্র- কোনও ভেদাভেদ নেই। সব যেন এক হয়ে গেছে এক করোনাভাইরাসের ভয়ে ও আতঙ্কে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত