ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্বতন্ত্র শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ন করবে ইসি

অন্যায়ে ‘ডিমোশন’ অপরাধে ‘অবসর’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২০, ২০:৩০  
আপডেট :
 ২৫ জুন ২০২০, ২১:২৩

অন্যায়ে ‘ডিমোশন’ অপরাধে ‘অবসর’

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী শৃঙ্খলা আইন দ্বারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারিদের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করাসহ নানা অপরাধের শাস্তি নির্ধারিত হয়ে এলেও এবার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি নিজেরাই ‘স্বতন্ত্র শৃঙ্খলাবিধি’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

নতুন এই বিধিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত অন্যায়ের শাস্তি হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে পদে কর্মরত আছেন তাদেরকে ডিমোশন দিয়ে নিচের পদে নামিয়ে দেয়া হবে। আর গুরুতর অপরাধ করলে কপালে জুটবে বাধ্যতামূলক অবসর। এছাড়া অন্যায়ের ধরন অনুযায়ী এ বিধিমালায় লঘুদণ্ডের ক্ষেত্রে-তিরস্কার করা, বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখা, ক্ষতিপূরণ দেয়া ও নিম্ন গ্রেডে অবনমিত করার বিধান রয়েছে।

অন্যদিকে গুরুদণ্ডের মধ্যে নিম্ন পদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ ও বরখাস্ত করার বিধান রেখেছে স্বাধীন এই সংস্থাটি।

সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি অনুযায়ী, লঘু ও গুরু দু ধরনের শাস্তির বিধান করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ অমান্য, কর্তব্যে অবহেলা, সরকারের আদেশের অবজ্ঞা, সহকর্মীর বিরুদ্ধে তুচ্ছ/অহেতুক অভিযোগ আনাজনিত অসদাচরণ, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকা, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বা সম্পৃক্ত ব্যক্তির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে শৃঙ্খলা বিধিতে শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। অতীতে ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অনুযায়ী লঘুদণ্ড দেয়ার নজির রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দণ্ড হিসেবে দেওয়া হয়েছে ‘তিরস্কার’।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি কমিশনের আইন দ্বারা পরিচালিত হলেও এর শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হয় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী। কিন্তু কমিশন যেহেতু স্বাধীন একটি সংস্থা এবং নির্দিষ্ট আইন দ্বারা পরিচালিত, সে ক্ষেত্রে এর শৃঙ্খলার জন্য পৃথক বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ বিধিমালা প্রণয়নের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে ইসি। প্রশাসন ও অর্থ শাখার যুগ্ম সচিবকে আহবায়ক এবং শৃঙ্খলা ও আপিল শাখার উপ-সচিবকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন শাখার পরিচালক, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব, সিস্টেম ম্যানেজার, আইন শাখার উপ-সচিব, জনবল শাখার উপ-সচিব, সংস্থাপন শাখার উপ-সচিব ও সংস্থাপন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিবকে রাখা হয়েছে।

এ কমিটিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র শৃঙ্খলা বিধি প্রণয়নের বিষয়ে যথোপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক একটি খসড়া প্রস্তুত করে ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দাখিল করতে বলা হয়েছে। তবে এ জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।

ইসির সংস্থাপন শাখা-১-এর সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কোনো শৃঙ্খলা বিধি নেই। এতোদিন ধরে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ীই সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ অবস্থা কাটাতেই নিজেদের শৃঙ্খলা বিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ সংক্রান্ত কমিটি প্রথমে একটি খসড়া তৈরি করবে। এরপর এটি আরও যাচাই-বাছাই হবে। পরবর্তী সময়ে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত