তিস্তার পানি ফের বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপরে

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপরে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন / হিট অ্যালার্টের মধ্যে স্কুল খোলা কতটা যৌক্তিক?

স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিস্তার ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা ক্রমে কমে গিয়ে বন্যার উন্নিত হয়। এক সাপ্তাহে না যেতেই ফের উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের সবজি, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেক মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু-বৃদ্ধা ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার সকালে পানি কমে যেতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে