ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কোরবানিতে কামারপাড়ায় ভিন্ন চিত্র

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২০, ১৬:৩৬

কোরবানিতে কামারপাড়ায় ভিন্ন চিত্র

আর মাত্র কয়েকদিন পর কোরবানির ঈদ। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, চাপাতি তৈরিতে এ সময় সরগরম থাকে কামারপল্লী। যেন দম ফেলার ফুসরত থাকে না তাদের।

কিন্তু করোনার কারণে কোরবারির ঈদেও কর্মচাঞ্চল্য নেই গোপালগঞ্জের কামারপাড়ায়। সারা বছর কাজ না থাকলেও বিগত ঈদগুলোতে ক্রেতাদের পদচারণায় কর্মকারেরা কর্মব্যস্ত থাকলেও এবারের চিত্র ঠিক তার উল্টো। ফলে কাজ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন কর্মকারেরা।

বুধবার কামার পল্লীতে গেয়ে দেখা গেছে, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদকে সমানে রেখে হাতুড়ির টুংটাং শব্দে সরগরম হয়ে উঠতো গোপালগঞ্জের কামারপাড়া। অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময়ে এক প্রকার নাওয়া-খাওয়া আর ঘুম ছেড়ে দিতে হতো তাদের। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর পশু কোরবানির সংখ্যা কমে যাওয়ায় কেউ অস্ত্র বানাতে আসছেন না কামারপাড়ায়। অনেকই অলস সময় কাটাচ্ছেন আবার অনেকে অসল ঘুম দিচ্ছেন। অনেইকে আবার পশু কোরবানির সরঞ্জাম না বানিয়ে পাট মৌসুমকে কেন্দ্র করে কাস্তে বানানোয় মনোযোগী রয়েছেন।

পশু জবাই করা, মাংস কাটা ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য প্রয়োজন হয় চাকু, চাপাতি, দাসহ নানা ধরণের উপকরণ। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্র আগাম তৈরী করেনি কর্মকারেরা। কয়লাসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দাম বাড়ায় উপকরণের মান আনুযায়ী লোহা কেজি প্রতি ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা দাম চাচ্ছেন তারা। ক্রেতা না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ায় আয় রোজগার কমে যাওয়া পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন পার করেছেন কর্মকারেরা।

ক্রেতা রফিক শেখ, জব্বার আলী জানান, এবার করোনার কারণে হাতে কাজ না থাকায় কোরবানির পশু কিনতে হিমশিম থেয়েছি। নিজের বাড়িতেই পশু কোরবানি করবো। এ জন্য চাপাতি ও ছোড়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র বানাতে এসেছি। কিন্তু দাম বেশি চাওয়ায় না বানিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।

কর্মকারপাড়ার বলাই কামার জানান, এ বছর লোহা, কয়লা প্রভৃতির দাম আগের থেকে বেশি হওয়ায় তাদের উৎপাদিত মালামালের দামও বেশি হবে। তারা পশু জবাই করা ছুরি কেজি প্রতি ৫’শ টাকা, দা ৬’শ টাকা, চাপাতি ৪’শ টাকা, কুড়াল ৪’শ টাকা এবং বটি প্রতি কেজি ৫’শ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

খোকন কর্মকার, অজিত বৈদ্য, দিলীপ কর্মকার জানান, করোনার কারণে এবার জেলায় তেমন একটা পশুরহাট বসেনি। যে কারণে এ বছর কোরবানির সরঞ্জামন বানাতে আসেনি কেউ। দু-একজন যারাও এসেছেন তারা বেশি দাম বলে ফিরে যাচ্ছেন। যে কারণে এ বছর আগাম কোন অস্ত্র বানানো হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত