ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বশেমুরবিপ্রবির ৩৪ কম্পিউটার মিললো ঢাকায়!

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৬:০২  
আপডেট :
 ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৬:৫৯

বশেমুরবিপ্রবির ৩৪ কম্পিউটার মিললো ঢাকায়!

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) থেকে চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার মহাখালী এলাকার ‘জিসান ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলের একটি কক্ষ থেকে এসব কম্পিউটার উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার চোরখাই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ূন কবীর (৩৫) ও কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে দুলাল (২৫)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার মহাখালীর ‘জিসান ইন্টারন্যাশনাল’ হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে বনানী থানা ও গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এ সময় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। এ সময় হুমায়ুন ও দুলাল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হোটেল ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পলাশ শরীফসহ একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনার পর থেকে পলাশ শরীফ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত কম্পিউটারসহ আটককৃতদের গোপালগঞ্জ নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদেরও দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করা হবে।

ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। প্রথমে ৯১টি কম্পিউটার চুরি যাওয়ার কথা বললেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান ৪৯টি চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১০ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। একই সাথে ১৯ নিরাপত্তা প্রহরীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে। এর আগে চার দফায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেড় শতাধিক কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান আব্দুল কুদ্দুস মিয়া বলেছেন, তদন্ত কমিটি কাজ শরু করেছে। নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই কিছু বলছে পারছি না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত