ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুরান ঢাকায় তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৫:১০  
আপডেট :
 ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৮:০০

পুরান ঢাকায় তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

শোকাবহ আশুরা উপলক্ষে বাংলাদেশের পুরান ঢাকার হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনাজনিত বিধিনিষেধের কারণে পুরো আয়োজন হোসেনি দালান চত্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

রোববার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় পবিত্র আশুরার তাজিয়া। এ অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। তবে দিনভর মিছিলের পাশাপাশি অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানও চলবে।

প্রতিবারের মতো এবারও ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে চলছে তাজিয়া মিছিল। তবে, এবারের মিছিলটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। হোসেনি দালান প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম তুলে মিছিলের মতো ঘুরছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।

সকাল ৯টার পর থেকে সীমিত পরিসরে পবিত্র আশুরা উদযাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করে ইমাম হুসাইনের ভক্তরা। সকাল ১০টার আগেই ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী হোসেনি দালান ইমামবাড়া প্রাঙ্গণ। লাল-কালো আর সবুজের সমারোহে নানা অক্ষর খোচিত নিশান হাতে ছুটে আসেন তারা।

এরপর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় তাজিয়া মিছিল। এতে ১০-২০ জন দলবদ্ধ হয়ে চক্রাকারে বুক চাপড়িয়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনিতে শোকের দিনটিকে স্মরণ করছেন। আবার কেউ কেউ শোকাবহ দিনটির স্মৃতি তুলে ধরে গাইছেন শোকগীতি।

তবে অন্যান্য বারের তুলনায় মানুষের পদচারণা ততবেশি না হলেও ইমামবাড়া প্রাঙ্গণমূলত কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে নারী-পুরুষ, যুবক এমনকি শিশুদের আনাগোনায়। তবে তাদেরকে ভেতরে প্রবেশের আগে দুই স্থরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও অন্যান্য সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রয়েছেন পুরো হোসেনি দালান এলাকায়।

গত বুধবার করোনা মহামারির কারণে পবিত্র আশুরা পালন উপলক্ষে রাজধানীতে সব ধরনের তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমামবাড়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে বলে জানানো হয়।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদের তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।

এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়। সূত্র: পার্সটুডে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত