ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা

গতি নেই ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কাজে

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৪০

গতি নেই ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কাজে

দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ভারত-বাংলাদেশ আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কাজ ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিলো। এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় লাইলের কাজে ধীরগতি এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি এবং সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে তেলের দাম হ্রাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের কৃষি সেচে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সরবরাহে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারে।

ভারতের শিলিগুড়ি শহরের নূমালীগড় তেল শোধনাগার থেকে প্রায় ২২ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনটি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। এরপর তেতুলিয়া উপজেলা, পঞ্চগড় সদর, বোদা উপজেলা ও ঠাকুরগাও জেলা হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইনের মাধ্যমে ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে।

আঞ্চলিক জ্বালানি ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। ভারত অংশের ৫ কিলোমিটার নির্মাণকাজে মোট ব্যয় হবে ৫২০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করেপোরেশন ২১৭ কোটি এবং ভারত ৩০৩ কোটি রুপি যৌথভাবে নির্মাণকাজে ব্যয় করবে। এদিকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সয়মসীমা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ বছর।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলাবান্ধা থেকে জেলার ওপর প্রায় ৬৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাও প্রবেশ করে তেলের লাইনটি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে সংযুক্ত হবে।

এদিকে স্থানীয় ভূমি পর্যবেক্ষণের পর জমি অধিগ্রহণের মধ্যদিয়ে পাইপ লাইনের নির্মাণ কার্যক্রম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের জন্য এক হাজার প্লটের কাগজপত্র সংগ্রহ শুরু করেছে।

জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ভুক্তভোগী ইনসান সাগরেদ তিনি অভিযোগ করে বলেন, নতুন আরএস রেকোর্ট এবং জমির পর্চা থাকলে খতিয়ান না হলে পুনরায় খারিজ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু নতুন রেকর্টে এখন পর্যন্ত খতিয়ান সম্পূর্ণ হয়নি। আমরা জমি খারিজ করতে গেলে কবলাকৃত দলিল, ভায়া দলিল, ৬২ রেকর্টের মূল খতিয়ান থাকলেও বিভিন্ন ধরণের কাগজপত্র তলব করেন। এসব জমির কাগজ সংগ্রহ করতে আমাদের অনেকভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমার কবলাকৃত দলিল এবং জমি দখল থাকলেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

এদিকে একইভাবে আরাজি শিকারপুর মৌজার মমিন, হাবিবুল্লাহ, রাজিয়া বেগম ও জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেছেন।

জেলা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান জানান, আঞ্চলিক জ্বালানি পাইপ লাইনের নির্মাণ এবং জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে।

এদিকে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব শাখা, ভূমি অধিগ্রহণ ও আরএম শাখা) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন তিনি বলেন, করনো এবং অতিবর্ষণের কারণে প্রায় তিন মাস প্রকল্পের কাজ বন্ধ। তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী এন্ড কাজী'র প্রায় ৯ একর অরগানিক চা বাগানের ওপর দিয়ে পাইপ লাইনের নকশা থাকায় জটিলটা সৃষ্টি হয়েছে। যেসব মৌজার ওপর দিয়ে পাইপ লাইলের প্রকল্পের কাজ ধরা হয়েছে, সেই জায়গাগুলোর মালিকানা জটিলতা রয়েছে।

ইন্দোবাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইনের প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের মূল্য জানতে চাইলে তিনি জানান, গত দুই বছর আগের বাজারমূল্যে দিগুণ টাকা দেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত