প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:২২
বিদ্যালয়ে ইয়াবা সেবনকালে ধরা প্রাথমিক শিক্ষক!
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর উত্তর হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলমকে ইয়াবা সেবনের সময় হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। কয়েকদিন ধরে রাতে বিদ্যালয়ে এসে নিজকক্ষে তিনি ইয়াবা সেবন করে আসছেন।
|আরো খবর
বিষয়টি বুঝতে পেরে সোমবার রাতে এলাকাবাসী তাকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামসহ হাতেনাতে আটক করে। পরে বিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেয়ার শর্তে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ মাসুদ আলমের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সভাপতি ফরিদ উদ্দিন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরে মোটরসাইকেলে এসে প্রধান শিক্ষক মাসুদ রাতে বিদ্যালয়ে নিজ কক্ষে সময় কাটান। বিষয়টি স্থানীয়রা আঁচ করতে পারেন। এ প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে তারা আগথেকেই ওঁত পেতে ছিলেন। রাত প্রায় ৮টার দিকে মাসুদ বিদ্যালয়ে এসে কক্ষে ঢুকে ইয়াবা সেবন করছিলো। একপর্যায়ে এলাকাবাসী কক্ষে ঢুকে হাতেনাতে ইয়াবা সেবনকালে তাকে (মাসুদ) আটক করে। কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের বোতল ও কর্কসহ ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি দেখা যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। এসময় মাসুদ সংশোধন হবেন জানিয়ে এ বিদ্যালয় থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন অভিভাবক জানায়, প্রধান শিক্ষক সম্প্রতি নেশায় জড়িয়ে অসংলগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ধরনের শিক্ষকের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ইয়াবা সেবনের ঘটনাটি কয়েকজন আমাকে জানিয়েছে। সম্মান রক্ষার্থে আপাতত তাকে ছেড়ে দিতে বলেছি। পরিচালনা কমিটির বৈঠকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলমকে ফোন দিলে তার সহধর্মীনি পরিচয় দেয়া এক নারী রিসিভ করেন। তিনি জানান, মাসুদ ফোন রেখে ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। পরবর্তীতে চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এরআগেই লোকজন শিক্ষককে ছেড়ে দিয়েছে।
উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানা নেই।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার ঘোষ বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ জানায়নি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ