ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

চিকিৎসকের স্ত্রীর নির্যাতনের চিহ্ন মেয়েটির পুরো শরীরে

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:০২  
আপডেট :
 ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:৩৪

চিকিৎসকের স্ত্রীর নির্যাতনের চিহ্ন মেয়েটির পুরো শরীরে
ছবি- সংগৃহীত

হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. সিএইচ রবিনের স্ত্রী রাখির অমানুষিক নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী নিপা বাড়ৈকে (১১)।

শনিবার ভোর ৪টার দিকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আশোয়ার গ্রামের বিমলের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুটি এবং তার সঙ্গে থাকা বড় মা পরিচয়দানকারী নারী নিখোঁজ হয়।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, শিশুটি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ তার সন্ধানে নামে। এরপর ওই শিশুটির চাচা পরিচয়দানকারী তপন বাড়ৈর মামা শ্বশুর বিমলের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে শিশুটিকে এভাবে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতালে থেকে নিয়ে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির গ্রামের বাড়ির পাশেই তপন বাড়ৈ নামে ব্যক্তি রয়েছেন। যিনি শিশুটির সম্পর্কে কাকা (চাচা) হন, তিনিই শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়াসহ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য শুরু থেকেই জড়িত ছিলেন।

স্থানীয়দের ধারণা, আর্থিক প্রলোভনে নির্যাতনকারীদের পক্ষ হয়ে শিশুটির সঙ্গে অমানবিক আচরণে লিপ্ত হয়েছেন তপন বাড়ৈ।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, শুক্রবার বেলা ১১টায় বরিশালের উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শামসুদ্দোহা তাওহিদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চাচা পরিচয়ে এক ব্যক্তি নির্যাতনের শিকার শিশু নিপাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালান। তবে শিশুটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এবং বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় পুলিশকে না জানিয়ে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিতে রাজি হননি।

পরে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুটি এবং তার সঙ্গে থাকা বড় মা পরিচয়দানকারী নারীকে আর দেখা যায়নি।

শিশুটির পাশের বেডের রোগীরা জানিয়েছেন, সারা রাত ওই শিশুটির স্বজনদের মোবাইলে অনেক কল আসে এবং তারা সারা রাত সজাগই ছিলেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটি নিখোঁজের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হয়ে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্যাতনের শিকার শিশু নিপা বাড়ৈকে উজিরপুরের উত্তর জামবাড়ি এলাকার একটি দোকানের সামনে রেখে চলে যান এক ব্যক্তি।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

শিশুটি জানায়, ঢাকার অর্থোপেডিক ও ট্রমা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিএইচ রবিনের বাসায় ছয় মাস আগে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। শুরু থেকে রবিনের স্ত্রী রাখি দাস শিশুটিকে নির্যাতন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লোক মারফত নিপাকে গ্রামের বাড়ির এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত