ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বরই চাষে বেকার রাশেদ এখন স্বাবলম্বী

  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৪৯  
আপডেট :
 ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৮

বরই চাষে বেকার রাশেদ এখন স্বাবলম্বী
ছবি: প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক রাশেদুজ্জামান রাশেদ। মাস্টার্স শেষ করার পর কয়েক বছর ছুটেছেন চাকরির পেছনে। এরপরেও কোন চাকরি না পেয়ে হতাশ না হয়ে তিনি নিজ মেধা ও উদ্যোগে শুরু করেন বল সুন্দরী ও সীডলেস (আঁটি ছাড়া) কাশ্মীরি আপেলকুল চাষ।

এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সুস্বাদু আর লাল টুকটুকে রংয়ের এসব বরই চাষে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তিনি হয়েছেন এলাকার মডেল চাষি। এখন তার সফলতা দেখে অনেকেই আপেলকুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এ ছাড়াও তার এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক বেকার যুবকের।

রাশেদের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে বলসুন্দরী ও সীডলেস বরইয়ে ছেয়ে আছে। ফলের ভারে গাছ ও ডালগুলো মাটির সাথে নুয়ে আছে। ভারসাম্য রক্ষার জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে। পাহারা দেয়ার জন্য বাগানের তিন পাশে উঁচু করে টোল টাঙানো হয়েছে। দিন-রাত পালাক্রমে পাহারা দেয়া হচ্ছে বাগানের বরই। বাগান থেকে পাইকারি ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও বাজারে এর খুচরা মূল্য ৭০-৮০ টাকা।

ছবি ১: জয়পুরহাটে রাশেদের বরই বাগান

রাশেদুজ্জামান রাশেদ বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, মাস্টার্স শেষ করার পর কোনো চাকরি না পেয়ে হতাশ না হয়ে তিনি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পাঁচবিবি মহিপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ এলাকায় পরিত্যক্ত সাড়ে ৯ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন বরই চাষ। এ বাগানে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে তার বাগান ভরে গেছে সুস্বাদু-লাল টুকটুকে রংয়ের বরইয়ে। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার বরই বিক্রি হয়েছে। আর অবশিষ্ট বরই ৪-৫ লক্ষ টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, প্রথম পর্যায়ে বাগান করতে অনেক খরচ হলেও পরবর্তীতে আর তেমন খরচ হবে না। পরের বছর এ বাগান থেকে আয় হবে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।

ছবি ২: জয়পুরহাটে রাশেদের বরই বাগান

বাগানে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, এ জমিগুলো আগে পরিত্যক্ত ছিলো। এখন এখানে বাগান হওয়ায় ৮-১০ জন যুবক বেকারমুক্ত হয়েছে। এখানকার টাকা দিয়ে ভালমতো সংসার চলে তাদের।

এদিকে রাশেদের এ বাগান দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসীরা। অনেকেই প্রতিদিন আসেন তার বাগান দেখতে। উদ্বুদ্ধ হয়ে তারাও চান এমন একটি বাগান করতে।

ছবি ৩: জয়পুরহাটে রাশেদের বরই বাগান

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, এবার এ উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় অনেক বরই বাগান রয়েছে। বাগান মালিককে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত