ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

৭ মাস আগে পালায় সামিয়া, আজ ঝুলছে গাছে

  জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২১, ১৭:৫৩  
আপডেট :
 ০২ মার্চ ২০২১, ১৭:৫৬

৭ মাস আগে পালায় সামিয়া, আজ ঝুলছে গাছে
ছবি- প্রতিনিধি

জামালপুরে অজ্ঞাত কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্ত করেছে পরিবার। লাশের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পরিবারের নজরে আসে। পরে কিশোরীর মা জয়নব বেগম মর্গে গিয়ে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত ওই কিশোরীর নাম সামিয়া আক্তার। সে শহরের পাথালিয়া বকুলতলা এলাকার আব্দুল সফুরের মেয়ে। স্থানীয় শাহজামাল উচ্চ বিদ্যালয়ে সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে শহরের মনিরাজপুর মোড় এলাকার একটি মেহগনি ও একাশি গাছের বাগান থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

সামিয়ার মা জয়নব বেগম জানান, সাত মাস আগে শহরের কাচারিপাড়া এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে জনির সাথে সে পালিয়ে যায়। আমরা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। কয়েকদিন পর সে আবার পালিয়ে যায়। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি, শহরের ফুলবাড়িয়া মুন্সিপাড়া গ্রামে নুরুল ইসলামের বাড়িতে আছে। মেয়েকে আনতে গেলে বাড়িতে ফিরতে অনিহা প্রকাশ করে। নুরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা বেগম সামিয়াকে মেয়ে বানিয়ে তাদের কাছে রেখে দেন। জনিও সেই বাড়িতে যাতায়াত করতো।

তিনি আরও বলেন, তিনদিন আগে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। সামিয়া আমার কাছে দুই লাখ টাকা চায় এবং জনির সঙ্গেই সে থাকবে বলে জানায়। সকালে এলাকার লোকজন ফেসবুকে ওর ছবি দেখে জানায়, মনিরাজপুর থেকে সামিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারপর হাসপাতালের মর্গে এসে মেয়েকে দেখে চিনতে পারি।

সামিয়া যে বাড়িতে থাকতো সে বাড়ির গৃহকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, সাত মাস আগে সামিয়াকে আমার বাড়িতে আশ্রয় দেই। সে বলেছে যে, তার পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। সামিয়া আমাকে বাবা ও আমার স্ত্রীকে মা ডাকতো। সামিয়ার মা জয়নব আমাদের বাড়িতে মাঝেমধ্যে এসে তার খোঁজখবর নিতেন।

নূরুল ইসলামের স্ত্রী সুজেদা বেগম জানান, সামিয়া কাল বিকেলে ওষুধ কেনার জন্য বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। তার বাড়িতে ফোন করে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। আজ দুপুরে বাড়িতে পুলিশ আসার পর জেনেছি যে, সামিয়ার ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ মনিরাজপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সামিয়ার প্রেমিক জনির বড় ভাই টনি (২৮) জানান, জনি (১৮) পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। জনির সাথে প্রেমের সম্পর্কের দাবি নিয়ে সাত মাস আগে সামিয়া আমাদের বাড়িতে আসে। জনিকে সে বিয়ে করতে চায়। আমরা তার (সামিয়া) পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি এবং পুলিশে খবর দেই। পুলিশ সামিয়াকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এরপর জনির সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না বলে আমি জানি।

জামালপুর সদর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান জানান, লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিক তদন্তে ওই কিশোরীর পরিচয় পাওয়া যায়। কিশোরীর মা জয়নব বেগম মর্গে এসে সামিয়ার লাশ শনাক্ত করেন। এ বিষয়ে কিশোরী পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত