ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, বন্দর কর্মচারী বরখাস্ত

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৫৮  
আপডেট :
 ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৪:০৮

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, বন্দর কর্মচারী বরখাস্ত
ইশরাত জাহান চৌধুরী

চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের দায়ে বন্দরের পরিবহন শাখার উচ্চমান সহকারী ইশরাত জাহান চৌধুরীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ (উপ-সচিব) স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে অসদাচরণ, প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগে ওই নারী কর্মকর্তাকে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বন্দর, কাস্টমস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে চুক্তি করেন ইশরাত জাহান। চাকরি না হলে টাকা ফেরতের ব্যাংক গ্যারান্টি চেকও দেন তিনি। এভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সিল ও স্বাক্ষর জাল, এমনকি ভুয়া নিয়োগপত্রও দিয়েছেন অভিযুক্ত।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই নারী রাজন মহাজন, রিপন চন্দ্র দে, আব্দুল করিম, অসীম বণিক, সুব্রত নাথ, রাজিব দাস, অভিজিৎ বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ চন্দ্র নম, অরুণ কান্তি দাশ, তানিয়া আকতার, আমীর হামজা, আব্দুল কাদের শরীফ, মো. জাবেদ ও আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসে চাকরি দেওয়ার নামে নিজ ব্যাংক একাউন্টে অর্থ আদায় করে ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। পরে বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগকারীদের দাখিল করা কাগজপত্র, ভিডিও ক্লিপ, ফোন আলাপ ও ব্যাংক একাউন্টে অর্থ জমা হওয়ায় জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ, ওই নারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে গেলে গত ২৫ জানুয়ারি বন্দর ভবনের তদন্ত কার্যালয়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এমনকি তদন্ত কাজে বাধা দিয়ে অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের ভয়-ভীতি দেখান তিনি। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইশরাত জাহান চৌধুরীকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত ও পরে তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বৃহস্পতিবার স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রতারণার অভিযোগে ইশরাত জাহানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিল চট্টগ্রামের আদালতে। এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীরা জানান, একেকজনের কাছ থেকে তিনি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। আবার এসব টাকা তিনি কখনো গোসাইলডাঙ্গার বাসা এবং শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বসে চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে দরবার বসাতেন। এ সময় তিনি প্রতারণার কৌশল হিসেবে পবিত্র কোরআন শরীফ ও নিজের ছেলের মাথায় হাত রেখে কসম কেটে নিজ হাতে টাকা গুনে নিতেন। তার কথায় বিশ্বাস করে চাকরিপ্রত্যাশীরা মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং রেজাল্ট শিট তৈরি করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত