ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবশেষে চিকিৎসক সাবিরা হত্যাকাণ্ডে মামলা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২১, ০০:৪১  
আপডেট :
 ০২ জুন ২০২১, ০১:৫২

অবশেষে চিকিৎসক সাবিরা হত্যাকাণ্ডে মামলা
ফাইল ছবি

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে কাজী সাবিরা রহমান লিপি (৪৭) নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রমনা নিউ মার্কেট-জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, নিহত চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলাটি করেন। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি করা হয়।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১, ফাস্ট লেনের ওই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ধানমন্ডির গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।

সিআইডির ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডটি রোববার (৩০ মে) মধ্যরাতের কোনো এক সময় সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সূত্র জানায়, সাবিরাকে নিষ্ঠুরভাবে ব্রুটালি কিলড করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানার তোশকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়াতে পারেনি। তবে, সাবিরার শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ হয়।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের ইন্সপেক্টর শেখ রাসেল কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিরার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়েছে। তার দেহে রক্ত ও পোড়ার ক্ষত আছে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এটি হত্যাকাণ্ড।

ঘটনাস্থলে এসে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বলেন, চিকিৎসকের দুটি রুম সাবলেট দেওয়া আছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার সাবলেটের বাসিন্দা কানিজ সুবর্ণা, তার এক বন্ধু ও বাসার দারোয়ান রমজান ৩ জনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ডা. সাবিরা দুটি বিয়ে করেছিলেন, তার প্রথম স্বামী একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর সাবিরা দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্ত।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলামত নিয়ে আসছি। সুষ্ঠ তদন্তের জন্য সবরকম চেষ্টা করা হবে। দ্রুত রহস্য উদঘাটন করতে পারবো বলে জানান ডিবি রমনার ডিসি এইচএম আজিমুল হক।

আরও পড়ুন- কলাবাগানে নিজ বাসায় নারী চিকিৎসকের লাশ

চিকিৎসকের শরীরে জখম, প্রাথমিক ধারণা হত্যা

অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু, নাকি ঠান্ডা মাথার খুন!

সাবিরা হত্যার ২৪ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি

এফজেড/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত