ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কর্ণফুলীতে ২০ ফুট পলিথিনের স্তর, এলজিইডি মন্ত্রীর ক্ষোভ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২১, ১৯:৩০  
আপডেট :
 ২৬ জুন ২০২১, ১৯:৫৯

কর্ণফুলীতে ২০ ফুট পলিথিনের স্তর, এলজিইডি মন্ত্রীর ক্ষোভ

‘কর্ণফুলী নদীর নিচে ২০ ফুট পলিথিনের স্তর জমেছে। ১০ বছর ড্রেজিং না করলে তো এ পরিমাণ পলিথিন জমা হওয়ারই কথা।’ এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সময় সংশ্লিষ্টদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কর্ণফুলী নদীর দু’পাশের সৌন্দর্য ও পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে বন্দরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর তাদের জায়গা লিজ দিতেই পারে। কিন্তু তাই বলে নদীর দুই পাশে কারখানা বানানোর জমি লিজ দিলেও তদারকি না করায় নদী ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার অধিকার তো সরকার দেয়নি। নদীর দখল ও দূষণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনীতির প্রাণ ও চট্টগ্রাম শহরকে নিয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে চলমান ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তদারকির জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা শিগগিরই শেষ হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক। মহানগরীর সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যা চলমান আছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহর অত্যাধুনিক শহরে রুপান্তরিত হব।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এমন ফজলুল্লাহ, সিডিএ’র চেয়ারম্যান জহিরুল আলম, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ্ আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত