রপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৮ আপডেট : ১১ জুলাই ২০২১, ১৭:১০
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে দুর্ঘটনা মানতে রাজি নন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যদিও কেউ হত্যা করেনি।
রোববার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ঘটনাস্থল শেষে নিহতর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যদিও কেউ হত্যা করেনি। সরকারের একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিভাগ আছে, তাদের ইন্সপেক্টরদের প্রতিনিয়ত কলকারখানায় এসে দেখার কথা। তারা এখানে আসলে বুঝতে পারত কোথায় কোথায় গাফিলতি আছে। কিন্তু দুর্নীতির ফলে তারা আসে না।
সরকারে অব্যবস্থাপনার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে অভিযোগ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডে যেভাবে মৃত্যু ঘটছে, তাতে এই সরকারের ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। আর ন্যায় নীতি না থাকলে এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইন না মানলে এসব দুর্ঘটনা থামবে না। এই দায় দায়িত্ব সরকারের।
নিহত শ্রমিক-কর্মচারীর প্রত্যেক পরিবারকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে তো জীবনের ক্ষতিপূরণ হবে না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এ টাকাটা পেলে উপকৃত হবে। আর আহত শ্রমিকদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ দিতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে আমাদের জীবন ছেড়ে দেয়া যাবে না মন্তব্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, পরিদর্শক কমিটিতে দুইজন নিরপেক্ষ পরিদর্শক থাকতে হবে। তারা সাংবাদিক হতে পারেন, বিশিষ্ট নাগরিক হতে পারেন এবং মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন। যারা আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত হবেন না। নিরপেক্ষ পরিদর্শক থাকলে মিথ্যাচারটা কম হবে। এটা সংস্কার হবে এবং জনগণের জীবন রক্ষা পাবে।
এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্র চিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল-ওআই/ কেএস
