ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

প্রতি মাসে দুই কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:১৫  
আপডেট :
 ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:২৫

প্রতি মাসে দুই কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা
ফাইল ছবি

দেশজুড়ে টিকাদানে নতুন কর্মসূচি চালুসহ প্রতি মাসে অন্তত দুই কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় এক কোটির মতো টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম রোববার সন্ধ্যায় টিকাদান পরিকল্পনা নিয়ে ফেসবুক লাইভে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটিসহ প্রায় দুই কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিকে কিভাবে আরও সম্প্রসারণ করা যায় তা নিয়ে আমরা সচেষ্ট আছি।

দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার মজুত থাকা ও আগামী কয়েক মাসে টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় এ পরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুরশীদ আলম।

নতুন এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের ​স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। আমরা টিকা দেওয়ার সময় মাথায় রাখি যারা বয়স্ক তারা যেন টিকাটা পায়।

নতুন পরিকল্পনায় শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়েও কাজ চলছে বলে জানান অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

তিনি বলেন, শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, কীভাবে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যায়। যেহেতু স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে এই কাজ করতে আমাদের ওপর নির্দেশনা আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করবো।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের টিকাদানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রবাসী শ্রমিক ছাড়াও শিক্ষার্থী যাদের সুনির্দিষ্ট টিকা ছাড়া দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া সম্ভব না, তাদের টিকাদান কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রেখেছি।

টিকাদান কেন্দ্র প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা আগে যে জায়গাগুলো টিকার জন্য ব্যবহার করতাম, বিশেষত স্কুল— সেখানে বড় জায়গা ছিল, অনেক বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সেই জায়গাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। যে কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা মিলনায়তন এবং উপজেলার যে কোনো বড় হল রুমে টিকা দেওয়ার কথা আমরা চিন্তা করছি।

তিনি বলেন, ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা পেতে আগ্রহীরা উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে নিবন্ধন করবেন। এসএমএস পাওয়ার পর নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেবেন। আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করে এসএমএস পাঠাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত