ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৩৬  
আপডেট :
 ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৫৭

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে’
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে এই অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না। এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।’

তিনি আরও বলেন, সেই থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৫২ এর ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত-’৬৬ এর ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং তার আহ্বানে ’৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালে একটি সুশিক্ষিত জাতি গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। উচ্চশিক্ষা প্রসারের জন্য তার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।’

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি গৌরব অনুভব করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ শেখ কামাল, সুলতানা কামালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনেক সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক। ‘

তিনি বলেন, জাতির পিতা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আগামী প্রজন্মের ভাগ্য শিক্ষকদের ওপর নির্ভর করে। ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ শিক্ষা ব্যত্যয় ঘটলে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হবে।’

নতুন জ্ঞান আহরণ, উদ্ভাবন, অনুশীলন ও বিতরণে সম্মানিত শিক্ষকদেরকে আরও তৎপর এবং আন্তরিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, এমন একটি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে, যখন সমগ্র বিশ্বের মানুষ করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিপর্যস্ত। এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার ক্ষেত্রেও এ বিশ্ববিদ্যালয় তার গবেষণা-প্রচেষ্টা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত