ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

পুলিশের সোর্স খুন, গ্রেপ্তারের পর হত্যার কারণ জানালো র‌্যাব

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৫২

পুলিশের সোর্স খুন, গ্রেপ্তারের পর হত্যার কারণ জানালো র‌্যাব
ছবি- সংগৃহীত

একসময় কেরানীগঞ্জে গ্লাসের দোকানে কাজ করতেন মোহাম্মদ সুমন। কারো সঙ্গে বনিবনা না হলেই গ্লাসের টুকরো বা ভাঙা অংশ দিয়ে যাকে তাকে আক্রমণ করতেন। এই থেকে এলাকায় তার নাম হয়ে যায় 'গ্লাস সুমন'। পরে কেরানীগঞ্জে গড়ে তোলেন মাদক ও সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। যার নাম দেয়া হয় 'গ্লাস কোম্পানি'। এই গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন সুমন। গ্রুপের কয়েকজন সদস্যকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করিয়ে দেয়ায় কেরানীগঞ্জের পুলিশের সোর্স নুরে আলম সায়মনকে হত্যা করে সুমন বাহিনী। হত্যার ঘটনায় সোমবার সুমন গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার বিকেলে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান বাহিনীর মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সায়মনের তথ্যে কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তাররা কেরানীগঞ্জের গ্লাস কোম্পানি নামে একটি সন্ত্রাসী ও মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য।

হত্যাকাণ্ডে গ্লাস সুমন ছাড়াও তার সহযোগী সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ (২৮), শরীফ ওরফে গরীব শরীফ (২৯), জনি ওরফে হর্স পাওয়ার জনি (৩২) ও হারুন (৩২) অংশ নেয়।

র‌্যাব জানায়, ওই গ্রুপের প্রধান হোতা সুমন ওরফে গ্লাস সুমন। তার দলের লোকজন গ্রেপ্তার হওয়ায় সায়মনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় সে। ১৫ জানুয়ারি সায়মনকে শিক্ষা দিতে পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়মনকে মোবাইল ফোনে কেরানীগঞ্জের মুক্তিরবাগ এলাকায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় সরাসরি গ্লাস সুমন ছাড়াও গ্রেপ্তার বাকি সদস্যরা অংশ নেন।

র‌্যাব মুখপাত্র জানান, নিহত সায়মনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট। এই ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আরস আলম ঢাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পৃথক অভিযানে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সুমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব আরও জানায়, সায়মনের হাত ও পায়ের রগ কাটাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সুমনের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। পরে স্থানীয় জনগণ সায়মনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রেপ্তার মো. সুমন নিজে ভিকটিমের রগ কাটে বলে। এছাড়াও লম্বু সোহাগ ও শরীফ রগ কাটায় অংশ নেয় এবং ওই সময় জনি ও গ্লাস সুমন সায়মনকে ধরে রাখে।

গ্রেপ্তার সুমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক ও ছিনতাইয়ের ৫টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার সোহাগ, জনি ও হারুনের বিরুদ্ধেও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানানয় র‌্যাব।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত