ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘এমপিদের সম্পত্তির হিসাব নিয়ে কাজ করছে দুদক’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:৩৯

‘এমপিদের সম্পত্তির হিসাব নিয়ে কাজ করছে দুদক’

সংসদ সদস্যদের সম্পত্তির হিসাব নিয়েও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, কেবল বিরোধী দল নয়, যারা সরকারি দলের সংসদ সদস্য তাদের সম্পত্তির হিসাব নিয়েও দুদক কাজ করছে।

সোমবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের ভূমিকা একটাই। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই— যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তারা হলফনামায় সম্পদের হিসাব সঠিকভাবে দেবেন, সেটাই আমরা চাই। ইতোমধ্যে দু-একজন সংসদ সদস্যের ব্যাপারে আমরা ইলেকশন কমিশনে লিখেছি, তাদের সম্পদ বিবরণী সঠিক নয়। যারা জনগণের প্রতিনিধি হবেন, জনগণ জানুক- তারা সঠিকভাবে নির্বাচন কমিশনে সম্পদের সঠিক হিসাব দিয়েছেন।

স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদক কোনও ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, না, এমন কোনও ব্যবস্থা আমরা নেবো না। আমাদের চোখের সামনে কোনও অনিয়ম ধরা পড়লে তখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে দুয়েকজন সংসদ সদস্যের বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন দৃশ্যমান কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সেটি নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের স্ত্রীরাও আসামি হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এমন প্রায় ১০টি মামলা আছে, যেখানে দুর্নীতিবাজদের পাশাপাশি তাদের স্ত্রীরাও আসামি। তবে স্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা দাবি করেন, তারা কিছুই জানেন না। এটি আসলে একটি সামাজিক ব্যাধি। এর প্রতিরোধে আমরা ক্যাম্পেইন করব, যেন স্ত্রীদের নামে কোনও অবৈধ সম্পত্তি রাখা না যায়।

দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, এ বছর সরকারি প্রতিটি খাতে দুর্নীতি রোধে কাজ করব। বিশেষ করে সরকারি ২৫ খাতে দুর্নীতি ও অপচয় রোধে বড় দাগে কাজ করবো। সবাই যাতে বুঝতে পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু একটা হচ্ছে। এই বছর মূলত পাঁচ বছর পরিকল্পনার দ্বিতীয় বছর। এবছর গুরুত্ব দেওয়া হবে শিক্ষাখাতকে। কারণ ২০৩০ চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ২৭ কোটি জনশক্তি লাগবে। আমরা সৌভাগ্যবান তখন আমাদের জনশক্তি ১৮ শতাংশ থাকবে। আমরা শিক্ষিত জনশক্তিকে দিতে চাই। তাই শিক্ষাখাতে দুর্নীতি না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ নজর দেওয়া হবে।

বড় প্রকল্পে দুর্নীতি ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চাইলেও সরকারের তরফ থেকে সাড়া মেলে না বলে মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলেছিলাম, বড় বড় প্রোজেক্টে যদি উনারা মনে করেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের সাহায্য দরকার… কেবিনেট ডিভিশনেও আমরা বলেছি.... তো, আমরা আসলে এমন কোনো রেসপন্স পাইনি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের সাড়া পাওয়া না গেলেও তিনি হতাশ নন। বড় প্রকল্পের দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক স্ব-প্রণোদিত হয়েই কাজ করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধের বিষয়টা চলমান। সরকার চেষ্টা করছে, কেবিনেট ডিভিশনে বলা হয়েছে মাত্র, যাতে দুর্নীতি হওয়ার আগেই দুর্নীতি বন্ধ ও প্রতিরোধ করা যায়। এটা বুঝতেও সময় লাগে।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকে দুর্নীতি বেড়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, না, এ কথাটা ঠিক না। কেলেঙ্কারি বাড়ছে না, বরং ব্যাংকিং খাতে কেলেঙ্কারি কমছে। আমার ধারণা, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন শুরু হয়েছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। ব্যাংকের বোর্ডগুলো ভালভাবে কাজ করছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। কারণ এই খাতে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

/এসকে/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত