ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

৩৩ বছর পর পুলিশের জমি উদ্ধার করলো ৩৩ নম্বর ওসি!

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৪৬

৩৩ বছর পর পুলিশের জমি উদ্ধার করলো ৩৩ নম্বর ওসি!
ছবি: প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে অন্যের দখলে থাকা বাংলাদেশ পুলিশের এক একর জমি উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদরের ভুল্লিতে বাংলাদেশ পুলিশের নামে থাকা এক একর জমির সীমানা নির্ধারণ করে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ৩৩ নম্বর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম। জমির জে এল নাং ৬৩, দাগনং ১৬২১, খতিয়ান নং ২৯।

জানা যায়, ১৯৮৯ সালে এলাকার জনগণের নিরাপত্তা ও জানমাল রক্ষায় পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক বরাবর বর্তমান সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী (ইদু) তার ব্যক্তিগত ১ একর জমি দান করেন। পরে কিছু সময় সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি বসানো হলেও উঠিয়ে নেয়া হয়। একসময় জমিটি স্থানীয়দের দখলে চলে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জমির দালাল আজিজের দখলে ছিলো জমিটি। জমিতে তিনি বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করতেন। কিন্তু সম্প্রতি আরও কিছু ব্যক্তি স্থানীয় নূর ইসলাম (সদ্যসাবেক ইউপি মেম্বার), রাজ্জাক, হাসেম আলী, জয়নাল ও দুলু মিঞা সেই জমিটিতে ভবন নির্মাণসহ কিছু কার্যক্রম শুরু করেন। তারা সকলে জাল দলিলের ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু জমিটি পুলিশের মালিকানায় থাকার বিষয়টি জানতো না জেলা পুলিশ।

সম্প্রতি গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পারেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম। এরপরেই তিনি জমিটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। খুঁজে বের করেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জমির দলিল।

ওসি তানভীরুল জানান, বিষয়টি জানতে পেরে আমি গোপনে তদন্ত শুরু করি। প্রয়োজনীয় সকল কাগজ বের করি। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সদর থানার পুলিশসহ জমিটি উদ্ধারে অভিযানে যাই। জমিটি এখন পুলিশের দখলে আছে। সেখানে বাংলাদেশ পুলিশের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি ভূট্টো চৌধুরী বলেন, আমি আগে জানতাম না এখানে পুলিশের জমি রয়েছে। সদর থানার ওসি আমাক অবগত করলে তার দেখানো কাগজ দেখে আমি জানতে পারি। তবে স্থানীয় অনেক মুরুব্বিরা বিষয়টি জানতেন বলে পরে জানা গেছে।

জমি দানকারী রেজওয়ানুল চৌধুরীর বড় ছেলে নম্র চৌধুরী জানান, জনগণের স্বার্থে আমার বাবা জমিটি বাংলাদেশ পুলিশকে দান করেছিলেন।বিষয়টি আমি জানতাম। এর আগে একবার মৌখিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তবে সেসময় তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এর আগে পুলিশ সদস্যরা এই জমিটির বিষয়ে অবগত ছিলো কিনা তা জানা নেই। তবে আমরা সম্প্রতি জানতে পেরে পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামীতে জায়গাটি পুলিশের কাজে ব্যবহার করা হবে।

২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এলাকাটি থানা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ভুল্লি এলাকাটি শিগগিরই ঠাকুরগাঁও জেলাধীন থানা ঘোষণা হতে পারে। উদ্ধারকৃত জায়গাটি যথাযোগ্য হলে সরকারের অনেক টাকা বেঁচে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত