ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

হত্যার পর শিশুকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪০

হত্যার পর শিশুকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর চাটখিলে নিখোঁজের ৯ দিন পর পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মো. শাহাদাত হোসেন নামে ওই শিশুর চাচাত ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে চাটখিল থানা পুলিশ। শাহাদাত উপজেলার ৪ নং বদলকোট ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. বাবুলের ছেলে।

রোববার সকালে ওই শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে ওই শিশু নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার বাবা পরের দিন শুক্রবার চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, ওই শিশু সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির সামনে যায়। পরে তাকে বাড়ির সামনে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আশপাশে ও নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন। খোঁজ না পেয়ে এক পর্যায়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই জিডির সূত্র ধরে তদন্ত নামে পুলিশ। ৮ দিনের মাথায় শুক্রবার রাতে নিহত ওই শিশুর আপন চাচাতো ভাই শাহাদাতকে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দেয়া তথ্য মতে শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত শাহাদাত ওই শিশুকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে প্রথমে হত্যা করে। তারপর তাকে ধর্ষণ করে লাশ বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে ফেলে দেয়।

ওসি আরও বলেন, নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে শিশুকে হত্যা এবং তারপর ধর্ষণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়। রোববার বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত