ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি

দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:১১

দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে একটি চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ।

এই ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হওয়ার সময় থেকে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সোমবার থেকে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার দুই পক্ষ তাতে সই করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের দীর্ঘ বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক। আর মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘আন্তরিক পরিবেশে’ দুই পক্ষের ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। ওই খসড়া তৈরি করা হয় দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্র এবং যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের দলিলের (টার্মস অব রেফারেন্স) ভিত্তিতে।

গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা।

সেনাবাহিনীর ওই অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে গত ২৩ নভেম্বর নেপিদোতে দুই দেশের মধ্যে একটি সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

সেখানে বলা হয়, প্রথম দফায় শুধু এবার আসা শরণার্থীদেরই ফেরত নেবে মিয়ানমার। ওই সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে সই করবে দুই দেশ।

তবে সেই ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করা হয় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর, গতবছর ১৯ ডিসেম্বর। ঢাকায় ওই বৈঠকেই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের টার্মস অব রেফারেন্স ঠিক করা হয়।

সম্মতিপত্রে স্বাক্ষরের ৫৪ দিনের মাথায় দুই পক্ষ মঙ্গলবার ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চূড়ান্ত করল। আর প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সম্মতিপত্রে নির্ধারিত দুই মাস সময় শেষ হচ্ছে ২৩ জানুয়ারি।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে যে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে, তাদের দিয়েই প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

/এসবি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত