ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

১৬ জেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তৈরী হবে ৪টি ফেরি ঘাট

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২২, ০১:০৬  
আপডেট :
 ২২ অক্টোবর ২০২২, ০১:০৯

১৬ জেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তৈরী হবে ৪টি ফেরি ঘাট
১৬ জেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তৈরী হবে ৪টি ফেরি ঘাট । ছবি : প্রতিনিধি

উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১৬টি জেলার সহজ ও সংক্ষিপ্ত পথ রাজবাড়ীর জৌ-কুড়া ও পাবনার নাজিরগঞ্জ নৌরুটে দুই পাড়ের হাজার হাজার যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তৈরী করা হবে ৪টি ফেরি ঘাট। ঘাট তৈরীর সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। চলছে ফেরি চলাচলের চ্যানেল তৈরীতে ড্রেজিং কার্যক্রম। এর ফলে সুফল পাবে ১৬ জেলার লাখ লাখ মানুষ।

রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ,শরিয়াতপুর, মাগুরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ ১৬ জেলার মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ, যাতায়াত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে এ ফেরি ঘাট।

জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ ফেরি ঘাটটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ফেরি ঘাটটি নতুন করে সংস্কারসহ আধুনিকায়ন করে রোরো ফেরি ঘাটে রুপান্তর করা হবে। এতে নৌপথ দিয়ে যাতায়াতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা কমবে। এতে যেমন অর্থ ও সময় বাঁচবে তেমনি সহজ ও সংক্ষিপ্ত পথের কারণে দুর্ভোগ বিহীন নৌরুট পারাপার হতে পারবে হাজার হাজার যাত্রীরা।

বিআউডব্লিউটিএ’র আর্থিক সহায়তায় ঘাটের উন্নয়ন কাজ শেষ করবে নৌ-বাহিনী। ফেরি ঘাটের জৌকুড়া অংশে পরিদর্শন করেন রাজাবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির, বিআইডব্লিউটিএ’র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ খান, বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক (বন্দর) আরিফুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিশ রহমান ও চন্দনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যার আব্দুর রবসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনসাধারণ।

স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, সহজ ও সংক্ষিপ্ত পথের কারণে তাদের এ নৌরুটে চলাচল সহজ হবে। নতুন করে ফেরি ঘাট সচল করায় আনন্দিত এ নৌ-পথের যাত্রী ও চালকরা।

আরও পড়ুন: কুমার নদে নেমে প্রাণ গেলো শিশুর

বিআইডব্লিউটিএ’র তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ খান বলেন, উত্তরাঞ্চলের সাথে সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এ নৌরুটে ফেরি দিয়ে পারাপার দুর্ভোগ হওয়ায় রোরো ফেরি চালু ও ঘাট সংস্কার করে রোরো ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে ঘাট সংস্কারে নৌবাহিনীর মাধ্যমে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির বলেন, পাবনা ও রাজবাড়ীসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর সাথে সহজ কানেকটিভিটি তৈরী করতে এ নৌ-রুট চালু করতে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, দুই বঙ্গের সহজ পথ হিসেবে এ নৌ-রুটকে আধুনিকায়ন কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় পাটুরিয়া দৌরতদিয়া নৌ-রুটের বসে থাকা ফেরি গুলো দিয়ে এ নৌরুটটি সচল রেখে জনসাধারণের সহজ ও সংক্ষিপ্ত এবং ভোগান্তিমুক্ত পথ তৈরী হবে ,সেই সাথে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়ার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/মনির

  • সর্বশেষ
  • পঠিত