ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

হরিপুর সীমান্তে হয়নি দু'বাংলার মিলন মেলা, অশ্রুজলে ফিরলেন স্বজনরা

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৪৩

হরিপুর সীমান্তে হয়নি দু'বাংলার মিলন মেলা, অশ্রুজলে ফিরলেন স্বজনরা
ছবি: প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মাকড়হাট ক্যাম্পের ৩৪৬ পিলার সংলগ্ন টেংরিয়া গোবিন্দপুর গ্রামের কুলিক নদীর পারে ঐতিহ্যবাহী পাথরকালি মেলা উপলক্ষে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে যুগ যুগ ধরে দুই বাংলার হাজারো মানুষ স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে কুশল বিনিময় করে।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বসে থাকতে থাকতে বেলা তিনটার দিকে চোখের পানি মুছতে মুছতে স্বজনদের নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এভাবে পাশের জেলাগুলো থেকে আসা হাজার হাজার মানুষকে ফিরে যেতে হয়েছে। দুপুরে ওই সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক মানুষ নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। মাইকিং করে মিলনমেলা হবে না জানিয়ে সীমান্তের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। ভারতের অনুমতি না থাকায় কোনো বাংলাদেশি যাতে সীমান্তের কাছাকাছি যেতে না পারেন, সে জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দুই বাংলার সীমান্তে লাখো মানুষের মিলনমেলা করা সম্ভব হয়নি এবার। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁকে কথা বলা আর দেখা না করার আক্ষেপ অধরা রয়ে গেল এক বছর অপেক্ষারত এপার ওপারে থাকা আত্মীয়স্বজনদের সাথে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ও রমজান মাসের কারণে এবার সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে কোন মানুষজনকে ভিড় জমাতে দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে আসা অনীল চন্দ্র, মোহন রায় বলেন, সকাল থেকে আমার পরিবার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে অপেক্ষায় বসে রয়েছি। দুপুর গড়িয়ে বেলা শেষের দিকে তারপরেও দেখা করতে পারছি না। জেলার হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার তাজিগাঁও,জনগাঁ, বুজরুক, বেতনা, কোচল, কুকরাদহ, ডাবরী সীমান্তের শূন্য রেখায় দুই বাংলার এই মিলনমেলা বসে।

ঠাকুরগাঁও ৩০-বিজিবি ব্যাটালিয়ান ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের উদ্যোগে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। সীমান্তের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাংলাদেশ ও ভারতের হাজার হাজার মানুষের এই মিলনমেলা বসে।

বাংলাদেশ জার্নাল/নুসরাত/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত