ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা রিমান্ডে

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:২১

রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা রিমান্ডে
গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার হোসেন। ছবি: প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই কামাল উদ্দিন ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। এ সুবাদে আনোয়ার হোসেন এলাকায় যুবলীগ নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি, রেলের তেল চুরি, রেলের কোয়াটার দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। কামাল উদ্দিন এই মামলার আরেক আসামি। এর আগে রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতাসহ দুইজনকে ৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, গত ৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঈশ্বরদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল হোসেন এবং তার ভাই আনোয়ার হোসেনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া ৩ থেকে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি আরবিন্দ সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ঈশ্বরদী থানা পুলিশের একটি দল আরামবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে নেয়া হয়। ওসি আরও বলেন, আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ঈশ্বরদী ইপিজেড সড়কে একটি ভটভটি ও লেগুনা গাড়ির মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। লেগুনার গাড়ি চালক জরিমানা দাবি করেন ভটভটি চালকের কাছে। এ নিয়ে দুই গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ১নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভটভটি চালকের কাছ থেকে জরিমানা নিতে বাধা দেয়া হলো কেন এমন প্রশ্ন তুলে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হন। তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে মামুন ও রকিকে গুলি করেন। এছাড়া আনোয়ারের সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিকশাচালক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত