ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় বৃদ্ধার গলায় জুতার মালা পরালো গ্রামবাসী

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩, ০০:২৬  
আপডেট :
 ০৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫৮

শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় বৃদ্ধার গলায় জুতার মালা পরালো গ্রামবাসী
ছবি: প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় পাঁচ বছরের এক শিশু কণ্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরিয়েছেন গ্রামবাসী। উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই বৃদ্ধের নাম বাবু শিকদার (৭০)। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ তপন গণমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে ডুমাইন গ্রামে পাঁচ বছর বসসী ওই শিশুকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠে।

ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠা বাবু শিকদার পূর্বে তিন-চারবার শিশু কন্যাদের উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন এবং হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কয়েকবার স্থানীয় বিচার শালিসে তাকে গ্রাম ত্যাগ করার জন্য বলা হয়; কিন্তু তিনি কয়েক মাস নিরুদ্দেশ থাকার পর আবার বাড়িতে ফিরে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (০৪ মার্চ) বিকালে পাঁচ বছরের একটি শিশুকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় ওই বৃদ্ধ। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে স্থানীয়রা বাবু শিকদারকে হাতেনাতে আটক করেন। পরবর্তীতে গ্রামবাসী জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরায়। অত:পর রাতে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদে শালিসের মাধ্যমে বাবু শিকদারের কাছে থেকে মুচলেকা নেয়া হয়। সাথে ১সপ্তাহের মধ্যে গ্রাম ছেড়ে যাওযার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ভবিষ্যতে এমন কাজ করলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে তার বিরুদ্ধে এমনই সিদ্ধান্ত হয় শালিসে।

এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ তপন বলেন, ওই বৃদ্ধ এর আগেও দুই-তিনবার এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু ওই বৃদ্ধের বয়সের চিন্তা করে আইনের দারস্থ না হয়ে লঘু শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধকে কথার দ্বারা তিরস্কার করে ও মুঁচলেকা নিয়ে তার ছেলের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

তবে বৃদ্ধে গলায় জুতা পরানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার এখানে শালিস করানোর আগে কয়েক'শ উত্তেজিত মানুষজন ও ছেলেপেলের মধ্যে কেউ হয়তো জুতা পরিয়ে ছবি তুলে রাখতে পারে। তবে, জুতা পরানোর সাথে আমি জড়িত নই।

এব্যাপারে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এব্যাপারে এখন পর্যন্ত ওই পরিবারে পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়া কিংবা মৌখিকভাবে জানায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কেটে দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত