ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

জেসমিনের ছেলে সৈকত বাসায় ফিরেছেন

  নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:২৮  
আপডেট :
 ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৫

জেসমিনের ছেলে সৈকত বাসায় ফিরেছেন
ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর পর গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে খোঁজ মিলছিল না তার ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকতের। তবে রাত ১টার পর বাসায় ফেরেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে জেসমিনের মামা নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু জানান, মায়ের শোকে সৈকত এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন, দিনভর তার খোঁজ মিলছিল না। রাতে বাসায় ফেরার পর সৈকত জানিয়েছেন, তিনি ঠিক আছেন।

জানা যায়, সুলতানা জেসমিন নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লার নওগাঁ পৌরসভা ও চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত অফিসে যাতায়াত করতেন তিনি।

প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০টায় নওযোয়ান মাঠের সামনে পৌঁছালে তাকে আটক করে নিয়ে যান র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।

আরও পড়ুন...জেসমিনের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন

আটকের প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুরে জেসমিনকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে র‌্যাব। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।

রামেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। শনিবার রামেকে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নওগাঁ সরকারি গোরস্তানে র‌্যাবের উপস্থিতিতে মরদেহটি দ্রুত দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন...র‌্যাব হেফাজতে মায়ের মৃত্যুর পর ছেলে নিখোঁজ

এরপরই র‌্যাবের বিরুদ্ধে জেসমিনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ তোলেন তার স্বজনরা। ঠিক সেই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকতকে সোমবার সকাল ১০টা থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাত ১টার দিকে বাসায় ফিরে আসেন তিনি।

সরাসরি দেখা করতে রাজি না হওয়ায় মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় সৈকতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় আছি, ঠিক আছি। আমার কিছু বলার মতো মানসিকতা নেই।’

আরও পড়ুন...র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু মারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘যদি সৈকত বা তার পরিবার কোনো কারণে নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন বা কোনো ধরনের আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে আমরা আইনি সহায়তা দেব।’

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত