গোপালগঞ্জে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:০৬ আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:৪৯
গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জুতা পায়ে দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের ঘটনা ঘটেছে। কোন নিয়ম-নীতি ও আদর্শকেই মানে নি কেউই। বারবার মাইকে জুতা নিয়ে শহীদ বেদীতে উঠতে মানা করলেও শোনেননি কেউ। নিয়মনীতি ভেঙে হুড়োহুড়ি করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং সেলফির তোলায় ব্যস্ত ছিলেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শুরু হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার হুড়োহুড়ি। কে কার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এ যেন প্রতিযোগিতা!
এসময় শহীদদের আত্মত্যাগকে মাড়িয়ে অনেকেই জুতা নিয়ে উঠে পরে শহীদ বেদীতে। এতে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। এসময় মাইকের ঘোষক জুতা নিয়ে বেদীতে না ওঠার আহবান জানালেও তা কেউ কর্ণপাতই করেননি। যার যার ইচ্ছামতো শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন। এমনকি কয়েকজনকে দেখা গেছে জুতা পায়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান করেছেন এবং সেলফি তুলেছেন।
সাংবাদিক প্রসূন মন্ডল বলেন, এটা একটি ঘৃনিত কাজ। রক্তের বিনিময়ে আমাদের বাংলা ভাষা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু আমার যে তাদের যথাযথ সম্মান দিতে পারি না এটা তার একটি বড় উদাহরণ।
সাংবাদিক বাদল সাহা বলেন, আমি নিজে রাতেই নিউজটি কভার করতে গিয়েছিলাম। একাধিক শিক্ষার্থীকে জুতা পায়ে বেদী উঠে সেলফি তুলতে দেখিছি। শিক্ষকরা যদি আন্দোলন না করে শিক্ষার্থীদের যদি কোথায় কিভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয় তা শিখাতে তাহলে দেশ একটি দায়িত্ববান দেশ প্রেমিক প্রজন্ম পেত।
উদীচীর জেলা শাখার সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, শহীদদেরকে অবমাননা করা হয়েছে। যারা এটা করছে তাদেরকে নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।
/এসকে/
আরও পড়ুন :