ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেশার টাকা দিতে না পারায় স্বামীকে তালাক

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১

নেশার টাকা দিতে না পারায় স্বামীকে তালাক
নেশার টাকা দিতে না পারায় স্বামীকে তালাক। ছবি: সংগৃহীত

নেশার টাকা দিতে না পারায় স্বামীকে তালাক দিয়েছে এক স্ত্রী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত চার মাস আগে হরিরামপুর ইউনিয়নের পূর্ব হোসেনপুর গ্রামের মেজবাউল ইসলামের (২৬) সঙ্গে পৌর শহরের সাহেবপাড়া এলাকার রেজাউল ইসলাম বাবুর মেয়ে মোছা. বিজলীর (২২) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আগে থেকে নেশায় আসক্ত ছিল স্ত্রী বিজলী।

বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিকভাবে সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এর পর স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠকে বসেও কোনো সমাধান আসেনি।

শুক্রবার রাতে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পরে পার্বতীপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন পার্ক চত্বরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে নেশার টাকা দিতে না পারার অভিযোগ তুলে স্বামী মেজবাউলকে তালাক দেয় ওই মাদকাসক্ত নারী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি চরম সামাজিক অবক্ষয় বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

বিজলীর পরিবার জানায়, আগে থেকেই নেশার সঙ্গে জড়িত ছিল বিজলী। বিয়ের পর নেশার মাত্রা বেড়ে যায় তার।

এ জন্য স্বামীর সঙ্গে তার মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিনিয়তই তাদের সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকতো। ইয়াবা, ট্যাপেন্টাডল, চোলাই মদসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করত বিজলী। শুক্রবার তালাকের মাধ্যমে তাদের ছাড়াছাড়ি হলো।

ভুক্তভোগী মেজবাউল ইসলাম জানায়, আগে থেকেই নেশার সঙ্গে জড়িত থাকলেও বিয়ের সময় তা গোপন করা হয়। এর পর বিজলীর নেশার মাত্রা দিন দিন এতটাই বেড়ে গেছিল যে প্রতিদিন তাকে প্রায় ২ হাজার টাকার মতো নেশা দ্রব্য লাগতো। নেশার টাকা যোগাতে সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। তাকে এসবে বাধা দেয়ার কারণে সে আজ আমাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে।

এ বিষয়ে ঘটনার পর রাতেই পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত