ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাগলের তেহারিতে পেট ভরছে জিম্মি নাবিকদের, মুক্তির কোনো খবর নেই

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:১১

ছাগলের তেহারিতে পেট ভরছে জিম্মি নাবিকদের, মুক্তির কোনো খবর নেই

ভারত মহাসাগর থেকে অপহৃত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক উদ্ধারে এখনও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। আলোচনা আর বিবৃতিতে আটকে রয়েছে নাবিকদের উদ্ধাদের কার্যক্রম। বন্দি নাবিকদের সঙ্গে জলদস্যুদের খারাপ আচরণের কথা এর মধ্যেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই নিয়ে নাবিকদের পরিবারের আশঙ্কা আর উৎকন্ঠা বাড়ছে।

তবে সম্প্রতি জানা গেছে, বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করা সোমালি জলদস্যুদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। নাবিকদের সঙ্গে শুরুর দিকে কঠোর আচরণ করলেও এখন তারা কিছুটা নমনীয়। নাবিকদের সঙ্গে আর দুর্ব্যবহার করছে না তারা। নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে। তাদের খাবার ও পানি নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল তা কেটে গেছে। উপকূল থেকে খাবার আনছে জলদস্যুরা। সোমালিয়ার ছাগল দিয়ে তেহারি বানিয়ে খাচ্ছে একত্রে। জাহাজটির মালিকপক্ষের সঙ্গে মুক্তিপণের আলোচনা ফলপ্রসূভাবে চলতে থাকায় জলদস্যুদের আচরণে এমন পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন নৌ খাতের অভিজ্ঞজনরা।

এদিকে জাহাজটির মালিকপক্ষ বলছে, প্রতিদিন তাদের সঙ্গে নাবিকদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে জলদস্যুরা। মালিকপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে। তারা আশা করছেন, আগের চেয়ে দ্রুততম সময়ে ২৩ নাবিককে জাহাজসহ মুক্ত করতে পারবে তারা।

জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘নাবিকদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। জিম্মি থাকলেও নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। এখন জাহাজে যে খাবার ও পানি আছে তা একসময় শেষ হয়ে গেলেও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। জলদস্যুরা উপকূল থেকে এনে প্রয়োজন মেটাবে বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনান চৌধুরী বলেন, ‘জলদস্যুরা মুক্তিপণের জন্য কখনও কখনও খারাপ ব্যবহার করে। মুক্তিপণের ব্যাপারে নিশ্চিত হলে তারা ভালো ব্যবহার করতে থাকে। আলোচনা চলতে থাকায় দস্যুদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে।’

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। তখন সেটিতে ২৫ দিনের খাবার ও পানি মজুত ছিল। এর পর থেকে সেই খাবার ও পানিতে ভাগ বসিয়েছে জলদস্যুরা। শিগগির খাবার ও পানির মজুত শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নাবিকরা। তবে এগুলো ফুরিয়ে গেলে কী হবে– তা নিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। জলদস্যুরা আশ্বাস দিয়েছে, খাবার ও পানির কোনো সংকট হবে না জাহাজে। প্রয়োজন মতো এটির ব্যবস্থা করবে তারা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত