ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

দেশে পৌঁছেছে ২৩ মরদেহ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০১৮, ১৬:১৭  
আপডেট :
 ১৯ মার্চ ২০১৮, ১৬:২৮

দেশে পৌঁছেছে ২৩ মরদেহ

নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমান। সোমবার (১৯ মার্চ) বেলা ৪টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টার্মিনালে অবতরণ করে বিমানটি। এর আগে বেলা সোয়া ২টার দিকে (নেপালের স্থানীয় সময় ২টা) নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে লাশবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি। এর কিছুক্ষণ আগে নিহতদের স্বজনদের নিয়ে ইউএস-বাংলার আরেকটি বিমান ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

সোমবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে মরদেহের কফিনগুলো সরাসরি আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়া হবে। বিকাল ৪টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে।

আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল থেকে আসা মরদেহ গ্রহণের জন্য বিমানটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে সেখানে উপস্থিত হন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও দুপুর থেকেই বিমানবন্দরে ও আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের স্বজনরা ভিড় করতে শুরু করে।

এর আগে সকালে নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর করেছে নেপাল কর্তৃপক্ষ। এরপর দূতাবাসের আঙ্গিনায় লাশের কফিনগুলো সারিবদ্ধ করে রাখা হয়। সকাল ৯ টায় জানাজা শেষে নিহতদের নাম লেখা কফিনের পাশে স্বজনরা কিছুক্ষণ থাকার সুযোগ পান। সেখানে আপনজনের নাম লেখা কফিন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। এরপর সোয়া ৯টার দিকে বিমানবন্দরে নেওয়ার জন্য গাড়িতে তোলা হয় কফিনগুলো।

নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা যায়, নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন-বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, এস এম মাহমুদুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা মিতু, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসা, মো. রফিকুজ্জামান, সানজিদা হক, অনিরুদ্ধ জামান, মো. হাসান ইমাম, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, তাহারা তানভীন শশী রেজা, ফ্লাইটের পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ ও মিনহাজ বিন নাসির, আঁখি মনি, এফ এইচ প্রিয়ক, শারমীন আক্তার নাবিলা, উম্মে সালামা, মো. মতিউর রহমান, খাজা হুসাইন ও মো. নুরুজ্জামান। নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। তারা হলেন- আলিফউজ্জামান, পিয়াস রায় ও মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪৯ আরোহীর মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে চার পাইলট-ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ২৩ জনকে শনাক্ত করে আজ দেশে নিয়ে আসা হয়। এদিকে রবিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ৬ জন দেশে ফিরেছেন। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন- শাহরিন আহমেদ মুমু, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, রাশেদ রুবায়েত ও শাহিন ব্যাপারী। বাকি চার জন সিঙ্গাপুর, নেপাল ও ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এসআইএস/

আরও পড়ুন :

বিকালে আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা

কাঠমান্ডুতে ২৩ মরদেহের জানাজা সম্পন্ন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত