ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

দিন দিন আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে: প্রধান বিচারপতি

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৩  
আপডেট :
 ২০ মার্চ ২০১৮, ১৯:৪৩

দিন দিন আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘২০১৭ সালে বাংলাদেশে ৭ লক্ষ ৪২ হাজার ২ শত ৪৭টি মামলা করা হয়। এটি প্রমাণ করে যে, দিন দিন আইনের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে এবং বিচার পাবার আশায় মানুষ আইনের দারস্থ হচ্ছে’।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মূল মিলনায়তনে ‘জেন্ডার, অধিকার ও মতপ্রকাশ বড় শহরসমূহে ন্যায় বিচারে অভিগম্যতা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সম্মেলনের শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতের উড়িষ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শ্রীকৃষ্ণ রাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, ঢাবির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাইমা হক ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান করার জন্য সরকার বিভিন্ন সংস্থায় অর্থায়ন করছে। ২০১৭ সালে ৬৬ হাজার ৬ শত ৪৪ জনকে সরকারি অর্থায়নে আইনি সহায়তা দিয়েছে লিগ্যাল এইড। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৮শত ৮২ জন হলো নারী। নারীর বৈষম্য রোধে এটি একটি প্রশংসনীয় কাজ। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন মেগাসিটি। এখানে একদিকে যেমন সুযোগ সুবিধা রয়েছে তেমনি অন্যদিকে মানুষ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। নারীর প্রতি এই বৈষম্য রোধে আইন প্রয়োজন। আমাদের যথেষ্ঠ পরিমাণে আইনও রয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য রোধ এবং সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য এসব আইনের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে’।

অধ্যাপক ড. শ্রীকৃষ্ণ রাও বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকদের আইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ না দেয়া হলে তারা আইন থেকে দূরে সরে যাবে। এছাড়া, গরীব লোকেরা সবসময় আইনকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। তাদেরকে আইনের সহায়তা নিতে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় সেটি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। নইলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে’।

অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, ‘আইনের শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। শহর ও গ্রামে নারীরা অনেক ধরনের সমস্যা ও বাধার মুখোমুখি হয়। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মোট চারটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে কিংডম অব নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসি। সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম বিকেল চারটায় শেষ হয়।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, গবেষক, সেবা প্রদানকারী, সাংবাদিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, আইনগত সহায়তা প্রদানকারী ও অধিকার সংগঠন, স্থানীয় পর্যায়ের সংগঠন, সমাজকর্মী, প্যারালিগ্যাল এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নেয়।

/আরএস/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত