দুই সিটি নির্বাচন
প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ে থাকছে ইসি'র নজরদারি
গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় নজরদারি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিয়ম মেনে ব্যয় করছেন কিনা- তা নজরদারি করে দুই দিন পর পর ইসিতে প্রতিবেদন পাঠাবে এই কমিটি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকছেন ওয়ার্ডভিত্তিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন একজন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন জানান, নির্বাচনে ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া রয়েছে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব বিবরণীও নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী ব্যয় সীমা পার করছে কিনা তা দেখতেই এই কমিটি করা হয়েছে।
প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় পার হলে প্রচার থেকে ভোট পর্যন্ত ব্যয় তদারকি করা হবে এ কমিটির মাধ্যমে। কমিটি তাদের প্রতিবেদনের অনুলিপি সিইসি, নির্বাচন কমিশনার, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছেও পাঠাবে।
১৫ মে ভোটের দিন রেখে দুই সিটির নির্বাচনের যে তফসিল নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ঠিক হয়েছে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এবার এ দুই সিটিতে ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে।
৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। আর খুলনা সিটির ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ জন।
ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিবউদ্দিন মণ্ডল গাজীপুর সিটি করপোরেশনে এবং খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন।
এসএস
