ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

যেভাবে মাসে দুইবার বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক!

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০১৮, ১৬:২৮  
আপডেট :
 ০৪ জুন ২০১৮, ১৬:৩৮

যেভাবে মাসে দুইবার বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক!

ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে মাসে দুইবার বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক! এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

ঘটনাটি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সাপখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের। এই বিদ্যালয়ের এমপিও শিটে সুলতান মাহমুদ নামে একই শিক্ষকের নাম ভুলবশত দুইবার মুদ্রণ হয়। আর এতেই সুযোগ নেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি সরকার। মুদ্রিত ওই নামের বিপরীতে আসা সরকারি বেতন ভাতা ফেরত না দিয়ে জাল কাগজপত্র দাখিল করে আলাদা ব্যাংক একাউন্টে নিয়মিত টাকা ওঠান তিনি। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

ঘটনা জানাজানি হলে ওই এলাকার সফিকুল ইসলাম গত ৬ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত আবেদন করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাপখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কৃষি শিক্ষক সুলতান মাহমুদ ২০১৪ সালে এমপিওভুক্ত হন। তার ইনডেক্স নম্বর ১০৬৯৮০০। ওই এমপিও শিটে ভুলবশত সুলতান মাহমুদের নাম দুইবার প্রকাশ হয়। অন্যটির ইনডেক্স নম্বর ১০৭২৬৩৯। বেতন কোড: ১০।

এই সুযোগে প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। পরে এমপিও শিটের অতিরিক্ত মুদ্রিত সুলতান মাহমুদের নামে সোনালী ব্যাংকের নাগেশ্বরী শাখায় একটি হিসাব খোলেন। যার নম্বর ৫২১২৬০১০২৩৮৯৬। এই একাউন্ট ব্যবহার করেই নিয়মিত মাসিক বেতন ভাতা তুলে আত্মসাৎ করতেন প্রধান শিক্ষক।

ব্যাংক স্টেটমেন্টে দেখা যায়, জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৪০ টাকা উত্তোলন করে করেছেন। এছাড়াও হিসাব নম্বরের বিপরীতে তিনি ভোগ্যপণ্য ঋণ নেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে ১৭ মে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তদন্ত হয়। এতে প্রকৃত সুলতান মাহমুদ তার নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হন। তবে প্রধান শিক্ষক উপস্থিত হননি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল গণি বলেন, সরকারি যে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বুধবার তা ফেরত দেয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে আব্দুল গণি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত