ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড় হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০১৮, ১৩:৫৫

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড় হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প

রাজধানী ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দেড় হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের উপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬টি বেদখলী ও বিলুপ্ত প্রায় খাল খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যা আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ করা হবে এবং এগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।

তিনি বলেন, ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলসহ অনেক সদস্য ঢাকায় জলাবদ্ধতার কথা বলেছেন। এটা একটা সমস্যা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় এটা হচ্ছে। তবে আমরা গত ২ বছর যাবত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারে কাজ করে চলেছি। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও ওয়াসা যৌথভাবে এ কাজ করে চলেছে। এ জন্য পানি নিষ্কাসন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তবে কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করি আগামী বছর থেকে এ জলাবদ্ধতা দূর হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় এখনো স্বাবলম্বী নয়। দেশে আমাদের মোট ৩ লাখের উপর রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোট রাস্তা ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৬২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৫২৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা। বাকি রাস্তা এখনো কাচা বা ইট বসানো। তাই জনগনের চাহিদা উত্তোরোত্তর বাড়ছে। তাদের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ পর্যন্ত ১৯৪৪টি প্রকল্প চলমান। এ ছাড়াও বিদেশী সাহায্যপুষ্ঠ অনেক প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে উপযুক্ত অর্থের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এসব রাস্তা এক বছরে ভেঙে যায় এ অভিযোগ ঠিক নয়। তবে হাইওয়ে ও গ্রামীণ রাস্তার স্ট্যান্ডার্ড এক রকম নয়। এসব রাস্তার লোড নির্ধারণ করা থাকে। কিন্তু সমস্যা এই যে, ছোট ছোট রাস্তায় বেশি লোডের গাড়ি ঢুকে পড়ে রাস্তা নষ্ট করে ফেলে। তবে এটা স্বীকার করতে হবে যে, সব রাস্তা হয়তো সমান মানের হয় না। অনেক সময় দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে কাজের মান নিম্মমুখি হয়ে যায়।

এসময় তিনি এমপিদের নিজ নিজ এলাকায় রাস্তাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করে মন্ত্রণালয়ের নজরে আনার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী জানান, দেশে ১১টি সিটি কর্পোরেশন, ৩৩০টি পৌরসভা, ৬১টি জেলা পরিষদ (পার্বত্য চট্টগ্রাম বাদে) ৪৯২টি উপজেলা এবং ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

সুষম বন্টন হয় না এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, যে এলাকা বড় ও জনসংখ্যা বেশি সেখানে বরাদ্দ দিতে হয় বেশি। আবার কোনো কোনো এরিয়া ছোট সেখানে হয়তো কম বরাদ্দ করা হয়। তবে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশনের আওয়ায় রয়েছে। খোলা আকাশেল নিচে মলত্যাগ করেন মাত্র ১ শতাংশ মানুষ। এটি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য কাজ চলছে। দেশের মানুষের সুপেয় পানি দেবার জন্য নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বাজেট প্রস্তাবের ৩৪ নম্বর দাবির ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ, সেলিম উদ্দীন, নুরুল ইসলাম মিলন, ফখরুল ইমাম, নুরুল ইসলাম ওমর প্রমূখ।

তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন। পরে কণ্ঠভোটে তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত