ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কেন নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে না ইসি?

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ২১:১৮

কেন নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছে না ইসি?

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কার্যালয়ে গিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোরসহ একাধিক দাবি তুলে ধরেছে। এসব দাবি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছে কমিশন। বিরোধীরা সবসময় যুক্তি দিচ্ছে, সংবিধান মেনেই ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন করা যায়।

কেন নির্বাচন কমিশন এই যুক্তি মানছে না? কেন তারা মনে করছেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই তাদের নির্বাচন করতে হবে?

ইসির উচ্চ পদস্থ একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করছে, কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন কারণে ৩১ ডিসেম্বর থেকে পরের তিন সপ্তাহ পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে থেকে নির্বাচন নিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হবে না। যেহেতু ঘটা করে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন এখন ঢাকার বাইরে অন্যান্য বড় শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে, সে কারণে ৩১ তারিখ রাতে নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীকে সেটি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়।

ইসির উচ্চ পদস্থ ওই কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দুদফায় বিশ্ব ইজতেমা হবে। ইজতেমার সময় নিরাপত্তা বিধান পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীর জন্য সবসময়ই একটি বড় দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন সে কারণে মনে করে, জানুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন করা অসম্ভব। কারণ ইজতেমা নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে জানুয়ারির ২০ তারিখ পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হবে।

ইজতেমা এ বছর পিছিয়ে দেওয়া কি যায় না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইজতেমায় বহু দেশ থেকে বহু মানুষ আসেন, অনেক কর্মসূচি অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। ফলে ইজতেমা পেছানো প্রায় অসম্ভব।

ইজতেমার পর অর্থাৎ ২০ তারিখের পর নির্বাচন কেন করা যাবে না, এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে নিয়ে গেলে সংবিধান সঙ্কট তৈরির ঝুঁকি থাকবে। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সংসদ হতে হবে। যদি কোনো কারণে কোনো আসনে বা কোনো সেন্টারে নতুন ভোট করতে হয় তাহলে তার জন্য সময় প্রয়োজন। কতগুলো আসন বা সেন্টারে নতুন করে ভোট নিতে হতে পারে এবং তার জন্য কতটা সময় প্রয়োজন তা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়।' ফলে নির্বাচন কমিশন হাতে কিছু সময় রাখতে চায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত