ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

নিজের আসনেই চারবার হারলেন মির্জা ফখরুল

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:০৭

নিজের আসনেই চারবার হারলেন মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মস্থান ঠাকুরগাঁও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। এর মধ্যে বগুড়া-৬ আসনে বিজয়ী হলেও ঠাকুরগাঁও-১ আসনে পরাজিত হয়েছেন মির্জা ফখরুল।

শুধু এবারই নয়, নিজের জন্মস্থান ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এর আগেও তিনবার পরাজিত হন তিনি। নিজের এলাকায় এ পর্যন্ত পাঁচবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে চারবার পরাজিত হয়েছেন। এবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মির্জা ফখরুলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২১ হাজার ৬২২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৭৫টি। প্রার্থী ছিলেন চারজন। আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেন পান ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৮ ভোট, বিএনপির মির্জা ফখরুল পান ১ লাখ ২৮ হাজার ৮০ এবং অন্য প্রার্থীরা পান ৩ হাজার ৮৬২ ভোট।

স্বাধীনতার পর থেকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনটি ২০০১ সালের নির্বাচনে একবারই আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। রোববারের নির্বাচনে আবারও আসনটি পেল আওয়ামী লীগ।

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে এ আসনে প্রথমবার নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে হারেন মির্জা ফখরুল। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকার সময় খাদেমুল ইসলাম মারা যান। পরে

উপনির্বাচনে রমেশ চন্দ্র সেন এমপি নির্বাচিত হন। অবশ্য সেই উপনির্বাচনে ফখরুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে রমেশ চন্দ্র সেনকে হারিয়ে বিজয়ী হন ফখরুল। ২০০৮ সালে রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে ফের পরাজিত হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলে আবারো আসনটিতে এমপি নির্বাচিত হন রমেশ চন্দ্র সেন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫৬ হাজার ৬৯০ ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষ প্রতীকের মির্জা ফখরুলকে পরাজিত করেন। নৌকা পায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ১০১, ধানের শীষ পায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪১১ ভোট। এর আগে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মির্জা ফখরুল ৩৭ হাজার ৯৬২ ভোটের ব্যবধানে রমেশ চন্দ্র সেনকে হারান। ধানের শীষ পায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯১০ আর নৌকা পায় ৯৬ হাজার ৯৪৮ ভোট। ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম পান ৬২ হাজার ৭০৯ ভোট, মির্জা ফখরুল পান ৫৮ হাজার ৩৬৯ ভোট। ব্যবধান ৪ হাজার ৩৪০। আরেক প্রার্থী জামায়াতের রফিকুল ইসলাম পান ১৭ হাজার ২৪২ ভোট।

১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের খাদেমুল ইসলাম পান ৫৭ হাজার ৫৩৫, বিএনপির মির্জা ফখরুল পান ৩৬ হাজার ৪০৬ ভোট। ব্যবধান ছিল ২১ হাজার ১২৯ ভোট। পৃথকভাবে নির্বাচন করে জামায়াত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পান ২৬ হাজার ৮০০ ভোট, আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজওয়ানুল হক পান ২১ হাজার ৫০ ভোট।

জাতীয় নির্বাচন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মহাজোট ও জোটের শরিকদের ভোটারও এই আসনে বড় ফ্যাক্টর। তবে গত ২০ বছরে জাতীয় পার্টির ভোটার কমলেও বেড়েছে জামায়াতের ভোট।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত