ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৩

জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

লক্ষ্মীপুরের চররমিজ এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে জরাজীর্ণ একটি স্টিলের সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করছে দুই উপজেলার হাজার হাজার বাসিন্দা। যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোন পথ না থাকায় উপায়ান্তর না পেয়ে এ সেতু দিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে এলাকাবাসী।

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও নোয়াখালী জেলার সুবর্নচর উপজেলার মেলবন্ধন হিসেবে পরিচিত ছিল একটি সেতুই। এর মাধ্যমে দুই উপজেলাকে একত্র করলেও সেতুটি জরাজীর্ণ ও ওঠা নামার সংযোগ সড়ক না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে দুই উপজেলার হাজারো মানুষ। দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ সেতুটি ব্যবহার করছে।

চর রমিজ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার সংলগ্ন ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের সেতুটি হয়ে পড়ে জরাজীর্ণ, মরিচা ধরে স্টিলের সিটগুলো গর্ত হয়ে গেছে। সেতুটির দু’পাশে মাটির রাস্তা ভেঙে গেছে। সেতুতে ওঠার জন্য একপাশে একটি কাঠের সাঁকো থাকলেও অন্যপাশে নেই। যাতে সেতুতে উঠার কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

গত দুই তিন বছর আগেও এ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, রিকশা ও সিএনজি চলাচল করত। এখন তাও বন্ধ। এতে দুর্ভোগে রয়েছে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ হাজার গ্রামবাসী। যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করা হলে তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হবে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

রামগতি উপজেলার কৃষকরা সুবর্ণচর উপজেলায় গিয়ে চাষাবাদ করে। শিক্ষা গ্রহণের জন্য সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যেতেও সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। চলাচলের জন্য এই ব্রিজটিই তাদের একমাত্র ভরসা। তাই যাতায়াতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধদের বিপদে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রামগতি উপজেলার চৌধুরী বাজার এলাকায় ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের ব্রিজটির দু’পাশে মাটির রাস্তা ভেঙে গেছে। ব্রিজে ওঠার জন্য একপাশে একটি কাঠের সাঁকো থাকলেও অন্যপাশে নেই। ব্রিজের স্টিলের সিটগুলো মরিচা ধরে গর্ত হয়ে গেছে। গত ৬ থেকে ৭ বছর ধরে ব্রিজটির এই অবস্থা। দীর্ঘদিন দরে ব্রিজটির এমন পরিস্থিতি হলেও এইটি সংস্কার কি‍ংবা নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছেনা। এতে ঝুঁকি নিয়েই দু’গ্রামের বাসিন্দাদের ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুলুয়া নদীর ওপর এই ব্রিজটি রামগতি ও সুবর্ণচরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় যাতায়াতের জন্য ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু গাড়ি চলাচলে অনুপোযোগী হওয়ায় তাদের প্রচুর কষ্ট করতে হচ্ছে। এ জন্য দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার কিংবা নতুন করে নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার বলেন, আশা করি খুব দ্রুত সেতুটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে। আপাতত সেতুটি ব্যবহার করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ দিয়ে এক পাশে কাঠের সাঁকো আর অন্যপাশে মাটি ভরাট করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত