ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
শিরোনাম

মরদেহের গলায় ঝুলন্ত চিরকুট ‘আমি ধর্ষণের মূল হোতা’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৪৬

‘আমি ধর্ষণের মূল হোতা’

সাভার উপজেলার আশুলিয়ার এক পোশাক কারখানার নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের মামলার মূল আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরের একটি খোলা মাঠ থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের গলায় একটি কাগজ চিরকুট পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল, ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন মিয়া (৪০)। তিনি আশুলিয়ার ইয়োগি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানার লাইন চিফ হিসেবে কাজ করতেন। গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদাহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায়।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইয়োগি লিমিটেড কারখানা থেকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন এক নারী শ্রমিক। এ সময় পাঁচ বখাটে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কারখানার পিছনে একটি মাঠে গণধর্ষণ করে। পরদিন ৬ জানুয়ারি ওই নারী শ্রমিক মারা যান। একদিন পর ৭ জানুয়ারি নারী শ্রমিকের বাবা রিপনকে প্রধান আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল জানান, আমিন মডেল টাউনের একটি মাঠে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, মরদেহের গলায় একটি কাগজে লেখা ছিল- ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘গণধর্ষণের একদিন পর ওই নারী শ্রমিক মারা যান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার মূল আসামি রিপন। তাকে কারা গুলি করে মেরেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত