ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

৫০ হাজারকে ৫ হাজার কোটি বলেছিলেন দুদক চেয়ারম্যান

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৩০

৫০ হাজারকে ৫ হাজার কোটি বলেছিলেন দুদক চেয়ারম্যান

অসাবধানতাবশত ৫০ হাজার টাকাকে ৫ হাজার কোটি টাকা বলেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌশলপত্র-২০১৯’ এর উপর মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য দেশের সরকারি বেসরকারি ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেন।

সভায় ইকবাল মাহমুদ ‘৫০ হাজার টাকার দুর্নীতির পিছনে ছুটার চেয়ে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া উত্তম বলে’ মন্তব্য করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ‘৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির পিছনে ছুটার চেয়ে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া উত্তম’ বলেন।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়ার প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এ বিষয়ে গণমাধ্যমে এটি সংশোধনের অনুরোধ করেন।

সংশোধনীতে বলা হয়, সভায় প্রকৃতপক্ষে ৫০ হাজার টাকা বলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ৫ হাজার কোটি টাকা বলেছেন। এই অসাবধানতাজনিত ভুল সংশোধনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সকলকে অনুরোধ জানানো হলো।

এদিন দুপুরে ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের চেয়ে স্কুলের দুর্নীতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

গত সপ্তাহে দেশব্যাপী কোচিং সেন্টারে দুদকের অভিযানসংক্রান্ত একটি রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন- ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হচ্ছে আর শিক্ষকদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দুদক।

আদালতের এ বক্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দুদক চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থার কারণে অনেক কিছুই আমরা সামনে আনতে পারি না। কমিশনের একার পক্ষে সব দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া দুর্নীতি দমন করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, সব দুর্নীতি ধরা কমিশনের ম্যান্ডেট নয়। যে বিষয়গুলো দুদকের আওতায় নেই সেগুলোকে আমরা সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নজরে আনি। কমিশন দুর্নীতিকে বিচার বিভাগ পর্যন্ত টেনে নিতে পারে। কিন্তু দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে পারব না।

তিনি জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের যারা দুর্নীতিবাজ তাদের তালিকা তৈরির চেষ্টা করছি, সম্পদের হিসাব নিচ্ছি। দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেয়া হবে না।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অনেক ব্যর্থতা আছে। কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দুর্নীতি কমাতে পারিনি।

কমিশনের ভেতরেও দুর্নীতি আছে স্বীকার করে চেয়ারম্যান আরও বলেন, নেতৃত্ব সঠিক থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি কমবে। সিস্টেম ঠিক থাকলে দুর্নীতি কমবে। মানসিকতা ও মূল্যবোধের ইতিবাচক পরিবর্তন করা দরকার সবার আগে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত