ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্যালিকাকে ধর্ষণ

  টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:১৫

পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্যালিকাকে ধর্ষণ

এক বন্ধুকে সঙ্গে করে মিষ্টি ও জুস নিয়ে চাচা শ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে যান আমিনুর রহমান (২৫)। সেখানে যাওয়ার আগেই তারা ঘুমের ওষুধ গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেন মিষ্টি ও জুসের সঙ্গে। তা খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ওই সুযোগে বন্ধুকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুরকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বুধবার সকালে সখীপুর থানায় দুজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ বিকেলেই প্রধান আসামি আমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। আমিনুরের বন্ধুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়েটি বর্তমানে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

গ্রেপ্তার আমিনুর ইসলাম পেশায় ট্রাক চালক। তিনি উপজেলার বগাপ্রতিমা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আমিনুর রহমান কিছুদিন আগে একটি নতুন ট্রাক কেনেন। নতুন গাড়ি কেনা উপলক্ষে তিনি চাচা শ্বশুরের বাড়িতে মিষ্টি ও জুস নিয়ে যান। ঘুমের ওষুধ মেশানো ওই জুস ও মিষ্টি খেয়ে একপর্যায়ে বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে পড়লে আমিনুর ও তার বন্ধু ওই কিশোরীকে ধর্ষণ ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী বলেন, ঘটনার পরের দিন রোববার সকালে একে একে সবাই জ্ঞান ফিরে পান। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির চার সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সোমবার সকালে চিকিৎসক সবাইকে ছেড়ে দিলেও ওই মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবির বলেন, মেয়েটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। আমিনুরকে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।

সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবির বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত