ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বলেশ্বরের ভাঙনের কবলে সড়ক

  পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৪১

বলেশ্বরের ভাঙনের কবলে সড়ক

বলেশ্বর নদের ভাঙনের কবলে পড়েছে পিরোজপুর পৌরসভার খানাকুনিয়ারি সড়কটি। ওই সড়কের খুমুরিয়া মৌজার কাঠের সেতু সংলগ্ন সড়কের একাংশ ইতোমধ্যে বলেশ্বর নদে ভেঙে গেছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ওই কাঠের সেতুটিও। যে কোনো সময় সড়ক ও সেতুটি ভেঙে নদের গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

সড়ক ও সেতু ভেঙে গেলে পৌরসভার নিমা ও খানাকুনিয়ারি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি হবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর পৌরসভার খুমুরিয়া মহল্লা থেকে বলেশ্বর নদের তীর ঘেষে খানাকুনিয়ারি গ্রাম পর্যন্ত সড়কটির নাম খানাকুনিয়ারি সড়ক। সড়কটি দিয়ে দুই গ্রামের মানুষ শহরে, অফিস আদালত ও হাসপাতালসহ স্কুল-কলেজে যাতায়াত করেন।

সড়কটির খুমুরিয়া মৌজার শফিউদ্দিনের বাড়ির সামনের কাঠের সেতু হতে নিমা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক বলেশ্বর নদের ভাঙনের কবলে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে ভাঙনের কারণে সড়কের পশ্চিম পাশ ভেঙে যাচ্ছে। সম্প্রতি কাঠের সেতুর উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে নদটির ভাঙনের কবলে পড়ছে সড়কটি। এতে সড়কের একাংশ ভেঙে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাঠের সেতুর উত্তর প্রান্তের সড়কে বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের একটি অংশ নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেল বা রিকশায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কাঠের সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সেতুর পাটাতন কাঠ ও গাছের গুঁড়ি দিয়ে জোড়াতালি দেয়া। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

নিমা গ্রামের বাসিন্দা ও রিকশাচালক হাসান আলী জানান, আমার রিকশা চালিয়ে জীবিকা চালাতে হয়। এ রাস্তার কাঠের সেতুর কাছে সড়কে বড় ধরনের ভাঙন ধরেছে। আমরা সেখান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। যে কোনো সময় সড়ক ও কাঠের সেতুটি নদীতে ভেঙে পড়তে পারে।

সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্সের ছাত্র মো. দোয়েল শিকদার জানান, এ সড়ক দিয়ে চলাচলের দারুন ঝুঁকি রয়েছে। তা ছাড়া ব্রিজে একাকি পার হতেও ভয় লাগে। তারপরও মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতে হয়। অবিলম্বে কাঠের এ ব্রিজটি মেরামত ও রাস্তার ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নিয়ে এ এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।

পিরোজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল হক বলেন, সড়কটি বলেশ্বর নদের ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য নদীর তীরে পাইলিং দিতে হবে। আমরা সড়কটি রক্ষায় একটি প্রকল্প গ্রহণের চেষ্টা করছি। অর্থাভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া বলেন, নদীভাঙন রোধ করা গেলে সড়কটি রক্ষা করা যাবে। আমরা নদীভাঙন রোধ ও ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ কাঠের সেতুটির স্থলে লোহার সেতু নির্মাণের চিন্তা করছি। কিন্তু পৌরসভায় এ কাজ করার মতো টাকা নেই। অর্থের যোগান পেলে আমরা নদীতে পাইলিং ও কাঠের সেতুটির জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণ করব।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত