ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৪৪

আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পঞ্চগড়ের মাদরাসাছাত্রী আসমা আক্তারকে (১৭) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি মারুফ হাসান বাঁধনকে (২০) গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পঞ্চগড় থানা পুলিশ। অবশ্য পরিবার বলেছে বাঁধন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার দুপুরে রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পঞ্চগড় থানা পুলিশ। তবে বাঁধনকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।

পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ওসি আবু আক্কাস আহমদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত মারুফ হাসান বাঁধনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার রেল পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে আসমা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ‘বাঁচাও পঞ্চগড়’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। শুক্রবার সকালে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে তারা এ মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্বাস আলী, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক এমরান আল আমিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, পঞ্চগড় নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য ও নারী নেত্রী আকতারুন নাহার সাকী, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক, ‘বাঁচাও পঞ্চগড়’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী একেএম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, মামলার বাদী আসমার চাচা মো. রাজু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সাবু, নিহত আসমা আক্তারের বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও মা শেফালী বেগম বক্তব্য রাখেন। ব

বক্তারা আসমা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মানববন্ধনে নিহত আসমার পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন, সহপাঠী, প্রতিবেশী, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনের ময়মনসিংহগামী বলাকা কমিউটার ট্রেনের একটি পরিত্যক্ত বগি থেকে গলায় ওড়না অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে কমলাপুর জিআরপি থানার পুলিশ। পরে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তে তাকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়।

পরিবার জানিয়েছে, বাঁধনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আসমার। তাদের না জানিয়েই রবিবার বাড়ি ছেড়েছিল আসমা। ধারণা করা হচ্ছে, দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আসমাকে।

এ ঘটনায় নিহতের চাচা মো. রাজু বাদী হয়ে আসমার কথিত প্রেমিক বাঁধনকে প্রধান আসামি করে রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত