ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

নরসিংদীতে প্রতিবন্ধী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

  নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:২৪

নরসিংদীতে প্রতিবন্ধী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

নরসিংদীর পলাশে একরাতে তিন বাড়িতে ডাকাতের হানা ও মানসিক প্রতিবন্ধী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।

এরা হলো,উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের ইসমাইলের ছেলে সোহরাব (২০), খোকনের ছেলে জুয়েল (২৩), কাদের মেম্বারের ছেলে সুজন (২২), বিল্লালের ছেলে ইয়ামিন (১৮) ও জাকিরের ছেলে ইয়ামিন (২২)।

শনিবার বিকেলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ওসি নাসির বলেন, এদের মধ্যে ৩ জন এ হত্যাকাণ্ডে ও ডাকাতির ঘটায় জড়িত থাকার বিষয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদুর রজমান নাহিদের আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ ঘটনায় ৯ জন প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।

এদের মধ্য সেকান্দরদী গ্রামের আনিসুরের ছেলে শাকিল (২৫), ফজলেলু রহমানের ছেলে নাঈম (২২), মাইনুউদ্দিনের ছেলে মিঠু (২৫) ও শিবপুর উপজেলার মোল্লা মার্কেট এলাকার ফিরুজের ছেলে নাহিদ (১৮) পলাতক রয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম বিজয় (২২) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে তার নিজ বাড়িতে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে ডাকাত দলের সদস্যরা। ডাকাতের হাত থেকে বিজয়কে বাঁচাতে গেলে তার বাবা বেলায়েত হোসেনকেও নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা।

এ ঘটনার ২০ মিনিট আগে একই গ্রামের ওয়াব মিয়ার ছেলে অটোচালক ফারুক (৩০) ঘর থেকে বের হতে চাইলে তার বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। তাকেও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় ডাকতরা। পরে পাশের বাড়ির কাদির মিয়ার স্ত্রী তাছলিমার (৪৬) কান ছিড়ে সোনার দুল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

এ ঘটনার পর দিন পলাশ থানায় একটি হত্যা ও ছিনতাই মামলা হয়। এদিকে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত