ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

রামগঞ্জে জরাজীর্ণ স্কুল ভবনে কোটি টাকার প্রকল্প

  রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) সংবাদদাতা

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:১৪

রামগঞ্জে জরাজীর্ণ স্কুল ভবনে কোটি টাকার প্রকল্প

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদে কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এতে অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন ভবন ধ্বসের আশঙ্কায় রয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পুরনো ভবনের ছাদে হরিজেন্টাল ও ভার্টিক্যাল প্রক্রিয়ায় এক্সটেনশনসহ ৫টি রুম ও একটি টয়লেট নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিসান এন্টারপ্রাইজ ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে নির্মিত ২১ বছরের পুরনো ভবনের ছাদে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে।

এদিকে কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে পড়ে তারা। পরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের রামগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সরজমিনে দেখার পর কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে।

স্থানীয় আবদুস সালাম, রঈছ উদ্দিনসহ কয়েকজন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবনটির ভিমগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তরা খসে পড়ছে। দেয়ালগুলো অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। দেয়ালের নিচের অংশে ভাঙন দেখা দিলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনের ছাদে আরো একতলার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্কুলের উত্তরপাশে একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ও প্রচুর জায়গা থাকার পরও বিপজ্জনক এ ভবনের উপরে সস্প্রসারণের কাজ কেন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

এ ব্যাপারে জিসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আলতাফ হোসেন জানান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভালো বলতে পারবে পুরনো ভবনের ছাদে নতুন আরেকতলা (সম্প্রসারণ) করা যাবে কি না। তবে আমরা টেন্ডার অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে বলা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম জানান, আমি শিক্ষক মানুষ। বিদ্যালয়ের কাজ কে পেয়েছে বা কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

স্থানীয় ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বশির আহম্মেদ মানিক বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তবে জরাজীর্ণ ভবনে কিভাবে সম্প্রসারণের কাজ চলছে তা বোধগম্য নয়।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী দিপঙ্কর খীসা বলেন, সম্প্রতি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর চাকরির মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ায় আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। তারপরও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখবো কী করা যায়।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নিচ্ছি, যদি এমনটা হয় তাহলে আগে থেকে সাবধান না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি ঊর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত