ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিনি কখনো ‘মেজর’ কখনো ‘ডাক্তার’

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৫

তিনি কখনো ‘মেজর’ কখনো ‘ডাক্তার’

বরিশালে সেনাবাহিনীর মেজর ও ডাক্তার সেজে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। সোমবার দুপুরে নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের ঘোষবাড়ি এলাকা থেকে আটক প্রতারক সাইফুল বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বিষারকান্দি গ্রামের নুরুজ্জামান হাওলাদারের ছেলে।

এছাড়াও সাইফুল নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার এক বিত্তবান পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করে। যদিও সাইফুল বরিশাল নগরীর সাগরদী ইসলামী আলিম মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করে।

প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থী ইশফাক নগরীর ঘোষবাড়ি এলাকার ডি. আর মোটরস অ্যান্ড কার ডেকোরেশনের মালিক ও রেন্ট-এ কার মালিক সমিতির নেতা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ইশফাককে ওয়ারেন্ট অফিসার পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার সময় ওই প্রতারককে র‌্যাব আটক করে।

দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতারক সাইফুল বিভিন্ন সময় প্রাইভেটকারের বিভিন্ন পার্টস কেনার জন্য তার দোকানে আসতো। তার প্রাইভেটকারের সামনের গ্লাসে সাদা কাগজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লেখা স্টিকার রয়েছে। সে নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর ডাক্তার বলে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পদে চাকরি দেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে তাদের জানায়। এ জন্য সাইফুল চার লাখ টাকা দাবি করে।

সোমবার দুপুরে তার ছেলে ইশফাকের জীবন বৃত্তান্ত এবং চার লাখ টাকার অগ্রীম বাবদ ৫০ হাজার টাকা নিতে আসে প্রতারক সাইফুল। এ সময় তার কথাবার্তায় তাদের সন্দেহ হলে তারা তাদের এক নিকটাত্মীয় সেনাবাহিনীর মেজরকে বিষয়টি জানান। ওই মেজর বিষয়টি বরিশাল র‌্যাব-৮ কে জানান।

র‌্যাব সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারককে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন র‌্যাব-৮ কর্মকর্তারা।

২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভূয়া ডাক্তার সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতারক সাইফুল দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সহজ সরল রোগী ও তাদের স্বজনদের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতো।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, আটকের আগে সাইফুল নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ২ থেকে ৩ বছর ধরে সহজ সরল রোগী ও তাদের স্বজনদের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতো। কখনো রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার নামে আবার কখনো রোগী ভর্তি, কেবিন পাইয়ে দেয়া, কম খরচে অপারেশন করে দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।

তার প্রতারণা থেকে রক্ষা পায়নি হাসপাতালের কর্মচারীরাও। হাসপাতালের কর্মচারী আব্দুর রশিদের ছেলেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে সাইফুল। ওই ঘটনায় সাইফুলকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত