রাগে-ক্ষোভে প্রেমিকার বাসার সামনে প্রেমিকের আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:৫৯
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকার বাসার সামনে নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যা করেছেন নীরব (২০) নামে এক যুবক।
শনিবার ওই যুবক রাজধানীর কদমতলীর মেরাজনগরে প্রেমিকার বাসায় যান দেখা করতে। এতে বাধা হয়ে দাঁড়ান প্রেমিকার বাবা-মা। তারা তাকে বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেন। রাগে-ক্ষোভে আর হতাশায় তিনি প্রেমিকার বাড়ির সামনেই নিজের পেটে ছুরি মারেন। দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নীরব।
জানা যায়, পুরান ঢাকার ইসলামপুরের দোকান কর্মচারী নীরবের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নীরব তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কেরানীগঞ্জের বাঁশপট্টি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাবা মতি মিয়া বুড়িগঙ্গায় নৌকা চালান। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়।
ঘটনার সময়ে নীরবের সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু সিয়াম। তিনি জানান, ৬ মাস আগে নীরবের ফেসবুকে মেরাজনগরের ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে দেখা হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। শনিবার দুইজনের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। এজন্য সকালে নীরব তাকে নিয়ে মেরাজনগরে যান। তাকে দূরে বসিয়ে রেখে প্রেমিকার বাসায় যান তিনি। কিন্তু প্রেমিকার বাবা-মা নীরবকে দেখে গালাগাল করেন। প্রেমিকাও তাকে জানিয়ে দেয় দেখা হবে না। এতে হতাশায় সঙ্গে থাকা ছুরি নিজের পেটে বসিয়ে দেন নীরব।
সিয়াম জানান, ঘটনার সময়ে তিনি দূরে থাকায় কিছু বুঝতে পারেননি। চিৎকার শুনে সামনে গিয়ে নীরবকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি কোথায় ছুরি পেলেন, সঙ্গে করে নিয়েছিলেন কি-না তাও জানেন না। হয়তো আগেই পরিকল্পনা ছিল, প্রেমিকাকে না পেলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, পুরো ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। মেয়ের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া নীরবের বন্ধু সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু আছে কি-না তা জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নীরবের কথিত প্রেমিকা কদমতলীর একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ওই যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
